রক্তসংকট দূর করতে রক্তদান শিবির রেড ভলিন্টিয়ার্সদের, স্লোগান উঠল ‘এ লড়াইও বাঁচার লড়াই’

দীনেশ কুমার দাস, পেশা চা বিক্রি, পায়ে হেঁটে ঘুরে-ঘুরে। রক্ত দিয়ে এক প্রকার উপহার দিলেন খেটে খাওয়া মজুর।

রক্তসংকট দূর করতে রক্তদান শিবির রেড ভলিন্টিয়ার্সদের, স্লোগান উঠল 'এ লড়াইও বাঁচার লড়াই'
দেবদূত ঘোষ ও সৌরভ পালোধী সঙ্গে রেড ভলিন্টিয়ার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2021 | 12:31 PM

করোনাকালে অক্সিজেনের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলিতে দেখা দিয়েছে রক্ত সংকট। চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা। রক্তদান কর্মসূচি প্রায় বন্ধ। দু’একটি রক্তদান শিবির হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। আর যার ফলে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। হন্য হয়ে রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা যোগাযোগ করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু রক্তদান শিবির না হওয়ায় রক্তের ক্রেডিট কার্ড মিললেও ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত মিলছে না।

আরও পড়ুন “ওঁদের দুর্দশা দেখে মনে হচ্ছে আরও যদি কিছু নিয়ে আসতে পারতাম” সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে এসে খেদ শ্রীলেখার

তাই রক্তসঙ্কট মেটাতে প্যান্ডেমিক সময়ে এসএফআই দক্ষিণ পূর্ব হাওড়া রেড ভলেনটিয়ার্স-এর উদ্যোগ এবং ডিওয়াইএফআই দক্ষিণ পূর্ব আঞ্চলিকের সহযোগিতায় রক্তদান শিবির আয়োজন করা হয় নরেশ দাশগুপ্ত ভবনে। ত্রিস্তরীয় স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়াতে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, ডিস্পোসেবল বেড শিট, স্মোক স্যানিটাইজেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হয়েছে ‘রেড ভলেনটিয়ার্স’-দের রক্তদান শিবির। এমনকি লকডাউনে রক্তদাতাদের বাড়ি থেকে টোটো গাড়ি করে আনা হয় এবং রক্তদানের পর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁদের।

রক্তদান শিবির।

৭৫ জন রক্তদান করলেন শিবিরে। দীনেশ কুমার দাস, পেশা চা বিক্রি, পায়ে হেঁটে ঘুরে-ঘুরে। রক্ত দিয়ে এক প্রকার উপহার দিলেন খেটে খাওয়া মজুর। ‘রেড ভলেনটিয়ার্স’-দের উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন নাট্যপরিচালক সৌরভ পালোধী এবং অভিনেতা দেবদূত ঘোষ।

এপ্রিলের মাঝ থেকেই মূলত এসএফআইয়ের উদ্যোগে হাওড়ার শিবপুর অঞ্চলে শুরু হয় ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’-দের কাজ। রক্তদান শিবির বৃহৎ কর্মকাণ্ডের এক অংশ। ব্যালট-যুদ্ধে পরাজয় ঘটলেও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের ময়দানে মানুষের পাশে থেকে লড়ছে তাঁরা। করোনা যুদ্ধ যেন তাঁদের কাছে ব্যাসটের যুদ্ধের থেকে একেবারে কম নয়, তাঁদের কথায় “এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াই জিততে হবে।”