Howrah Station: ‘সকালে আসার কথা ছিল, সেই বন্দে ভারত এখনও আসেনি’, চরম দুর্ভোগ হাওড়ায়! প্লেনের খোঁজ শুরু যাত্রীদের
Howrah Station: একাধিক ট্রেন লেট তো করছেই সেই সঙ্গে হাওড়া দিঘা কান্ডারি এক্সপ্রেস, হাওড়া বার্বিল জন শতাব্দী এক্সরেস, হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রচুর ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষেপিত করা হয়েছে।

হাওড়া: হাতে মোবাইল, ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সার্চ করছেন কিছু একটা। চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। কাছে যেতেই বললেন, “মেয়ে অসুস্থ। সে কারণেই বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। সকালে ট্রেন আসার কথা থাকলেও বিকাল হয়ে গেলেও ট্রেন আসেন। তাই বাধ্য হয়ে বিমানেক টিকিট দেখছি।” পাশে দাঁড়িয়ে আর একজন বললেন, “পুরী যাব বলে বেরিয়েছিলাম। এখন কী করে যাব জানি না!” সকাল থেকেই এই ছবিই দেখা গেল হাওড়া-সাঁতরাগাছিতে। নেপথ্যে সিগন্যাল বিভ্রাট।
একাধিক ট্রেন লেট তো করছেই সেই সঙ্গে হাওড়া দিঘা কান্ডারি এক্সপ্রেস, হাওড়া বার্বিল জন শতাব্দী এক্সরেস, হাওড়া পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের মতো একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রচুর ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষেপিত করা হয়েছে, বেশ কিছু ট্রেনকে অন্যপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেই তীব্র গরমের মাঝে নাকাল হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। হাওড়া স্টেশনে ঢুঁ মারতেই ছবি স্পষ্ট হয়ে গেল একবারেই। সাধারণ মানুষের ভিড় তো রয়েইছে, একইসঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করতে দেখা গেল আরপিএফ-কে। ময়দানে রেল পুলিশ। উদ্বেগ কমছে না যাত্রীদের মধ্য়ে। ভুবনেশ্বর যাবেন বলে হাওড়ায় এসেছিলেন এক যাত্রী। কিন্তু, ট্রেন আসেনি। তিনি বলছেন, “ছিল পুরী এক্সপ্রেসের টিকিট। সমস্যা দেখে বন্দে ভারতের টিকিট কাটি। রাতে মেসেজ এল সেটারও টাইম বদলে দেওয়া হয়েছে। তারপর ফের সকালে বের হওয়ার সময় দেখি টাইম আবার বদলে গিয়েছে। আমার খুবই জরুরি দরকার ছিল। সেটা তো আর হল না।”
পাশে বসে আর এক যাত্রী বললেন, “কাল রাত সাড়ে ৯টায় ট্রেন ছিল। কিন্তু ট্রেন আসেনি। কাল থেকে এখানেই বসে আছি। সকালে বলা হয়েছিল দুপুরে ট্রেন আসবে। কিন্তু এখনও আসেনি।” আর একজন বললেন, “আমরা তো পুরীতে যাব বলে বেরিয়েছিলাম। সকাল ৬টায় বন্দে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। দুপুর পেরিয়ে বিকাল হয়ে গেলেও সেই বন্দে ভারত আর আসেনি।”
