Prasun Banerjee: ‘পৌনে পাঁচ বছর ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন’, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুম্ভকর্ণ’ বললেন রথীন
Prasun Banerjee: "প্রসূনবাবু গত ৫ বছরে একবারও সংসদে হাওড়ার নামটুকুও করেননি। তাঁকে শহরে দেখা যায় না। হাওড়ার রাস্তাঘাট থেকে পুর পরিষেবা সবকিছুই মুখ থুবড়ে পড়েছে। শহর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে।"
হাওড়া: ‘পাঁচ বছরের মধ্যে পৌনে পাঁচ বছর ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন।’ ভোট প্রচারে বেরিয়ে হাওড়ার তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলে আক্রমণ বিজেপি প্রার্থী তথা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সকালে রথীন চক্রবর্তী রামরাজাতলার চৌধুরীপাড়ায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রচারে বের হন। প্রথমে তিনি স্থানীয় শীতলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর জনসংযোগ কাজ শুরু করেন। তিনি এলাকার মানুষের কী কী সমস্যা রয়েছে, তাই নিয়ে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। এদিন তিনি বিদায়ী সাংসদকে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলেন। তাঁর বক্তব্য, “বিদায়ী সংসদ পাঁচ বছরের মধ্যে পৌনে পাঁচ বছর ঘুমিয়ে কাটান। আর বাকি তিন মাস জেগে উঠে বলেন আমাকে ভোট দিন। তিন বার সাংসদ থাকাকালীন তিনি যতটা সময় ঘুমিয়েছেন তা কুম্ভকর্ণকেও ছাপিয়ে যায়।”
তাঁর অভিযোগ, “প্রসূনবাবু গত ৫ বছরে একবারও সংসদে হাওড়ার নামটুকুও করেননি। তাঁকে শহরে দেখা যায় না। হাওড়ার রাস্তাঘাট থেকে পুর পরিষেবা সবকিছুই মুখ থুবড়ে পড়েছে। শহর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, তাঁকে মানুষ যদি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাওড়া শহরে পরিবর্তন আনবেন।
এ ব্যাপারে অবশ্য বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থীকে কার্যত এক হাত নেন। তিনি বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলেন। ভোটের আগে এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই। প্রসূনের বক্তব্য, “আমি কী কাজ করেছি তা পার্লামেন্টের ওয়েব পোর্টালে পাওয়া যাবে। দরকার হলে ওই পোর্টাল থেকে যাবতীয় তথ্য ডাউনলোড করে তা ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাবেন। উনি যা অভিযোগ করছেন তার কোন ভিত্তি নেই।”
তিনি উল্টে জানান, সাঁতরাগাছি বাকসাড়াতে অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। রেলের কাছে একটি আন্ডারপাস করে দেওয়ার জন্য বারবার দাবি জানান। সেটাও খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ মেয়র থাকাকালীন রথীন হাওড়া পুরসভার সর্বনাশ করে গিয়েছেন। তিনি বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকেন। আর ২০১৩ সালের পর থেকে তিনি নিজে হাওড়ার বাসিন্দা এবং ভোটার। কলকাতায় বড় খেলা না থাকলে তিনি হাওড়া ছেড়ে যান না বলে দাবি করেন।