হাওড়া: সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja 2023) নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরইমধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) দুই গোষ্ঠীর ঝামেলার জেরে সরস্বতী পুজো বন্ধ হয়ে গেল ডোমজুড় আজাদ হিন্দ কলেজে। কলেজের গেট থেকে ফিরে গেল সরস্বতী (Sraswati) প্রতিমা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজে ছুটে গেল ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই পক্ষই দাবি করে, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদেরকেই সরস্বতী পুজো করার দায়িত্ব দিয়েছে। দু’পক্ষই পুজোর আয়োজন শুরু করে। তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, এদিন কলেজ চত্বরে একপক্ষ পুজোর জন্য আল্পনা দিচ্ছিল। তখনই অপরপক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের নামে স্লোগান দিতে দিতে সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে কলেজে প্রবেশ করতে যায়। তখনই তাঁদের বাধা দেয় অন্য গোষ্ঠী। তাঁদের সাফ দাবি, ঠাকুরের বায়না আগেই হয়ে গিয়েছে। তাঁরাই করে এসেছেন। তাই আর নতুন করে কলেজে প্রতিমা আনা যাবে না। পুজোর আয়োজন তাঁরাই করছেন, অন্য কেউ করবে না।
অপরদিকে যাঁরা কলেজে প্রতিমা নিয়ে প্রবেশ করছিলেন তাঁরা দাবি করেন তাঁদেরকেই কলেজে পুজো করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অপরপক্ষ জোর করে পুজোর আয়োজন করছে। এ নিয়েই এদিন দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বেধে যায়। দু’পক্ষই রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। খানিক্ষণের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায় বলে খবর। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ধীরে ধীরে সামল দেয় পরিস্থিতি। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সরস্বতী প্রতিমা।
ঘটনা প্রসঙ্গে কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র সুভাষ জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা পুজো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। আলপনার কাজও চলছে। আজ যখন মেয়েরা আলপনা দিচ্ছিল তখন দেখি ওরা ঠাকুর নিয়ে আসছে। তখনই আমরা এগিয়ে যাই কথা বলতে।” আর এক ছাত্র অমরজিৎ কর্মকার বলেন, “যুব তৃণমূল নেতা তুফান ঘোষের নেতৃত্বে প্রিন্সিপালের মদতে কিছু বিজেপি আর সিপিএমের দালালদের মদতে এটা করা হয়েছে। আমরা প্রতিমা নিয়ে এলেও প্রতিমাকে কলেজে ঢোকাতে দেওয়া হয়নি। ওদের সাফ বক্তব্য ওরা আমাদের পুজো করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ঠাকুর নাকি ছোট।”
কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় অবশ্য এ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। যদিও হাওড়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তুলেছেন বহিরাগত তত্ত্ব। বলা হয়েছে, কলেজ পরিচালন কমিটি যাঁদের পুজোর দায়িত্ব দিয়েছে তাঁরাই কলেজে পুজো করবেন। তাঁদের আরও দাবি, এদিন কলেজে ছাত্ররা যখন পুজোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন বহিরাগত কিছু ছাত্র এসে ঝামেলা করে। এর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।