Shyampur Molestation Case : মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে গিয়েছে প্রাণ, দেহ আটকে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্যামপুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 25, 2023 | 6:05 PM

Shyampur Molestation Case : অভিযোগ, রবিবার গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাওড়ার (Howrah) ওই এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রীর উপর চড়াও হয় এলাকার কিছু যুবক। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা যায়।

Shyampur Molestation Case : মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে গিয়েছে প্রাণ, দেহ আটকে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্যামপুর
গ্রামে উত্তেজনা

Follow Us

শ্যামপুর : মেয়ের শ্লীলতাহানি (Molestation) রুখে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা। প্রতিবাদ করে খুন হতে হয়েছে তাঁকে। উলুবেড়িয়া (Uluberia) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এদিন বাড়ির এলাকায় দেহ পৌঁছাতেই বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তায় শববাহী গাড়ি রেখে দুস্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। ব্যাপক চাঞ্চল্য হাওড়ার (Howrah) শ্য়ামপুরে। কেন ঘটবে এ ঘটনা? কোথায় পুলিশ? কোথায় প্রশাসন? প্রশ্ন তুলছেন বিক্ষুব্ধরা। পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। 

অভিযোগ, রবিবার গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দশম শ্রেণির ছাত্রীর উপর চড়াও হয় এলাকার কিছু যুবক। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা যায়। এই মদ্যপ যুবকের দলই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন ওই কিশোরির বাবা। তাঁকে মাঠে ফেলে বেধড়ক মারধর করে মদ্যপ যুবকের দল। রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ মাঠেই পড়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকার তিন যুবকের নাম প্রকাশ্যে এনেছে নির্যাতিতা কিশোরী। এমনকী এলাকার আরও অনেক মানুষের উপরেই অত্যাচার চালনোর অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ জানালেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করেছে ওই নির্যাতিতা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতেও সরব হয়েছে নির্যাতিতা। প্রশাসনের কাছে তাঁদের সংসারের ভরপোষণের দাবিও তুলেছেন। 

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, “আমার মেয়ে পড়ে বাড়ি আসছিল। তখনই আমার মেয়ের পথ আটকায় ওরা। আমার স্বামী রোজই ওকে আনতে যায়। সেদিন মাঠে গিয়েছিল পাশেই। মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়েই ওই জায়গায় আসেন। ঘটনার প্রতিবাদ করেন। কোনওমতে তখন আমার মেয়ে ঘরে চলে আসে। এদিকে ততক্ষণে আমার স্বামীকে মাঠে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে দিয়েছিল ওরা।” ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় মদ বিক্রি সাম্প্রতিককালে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এতে হেলদোল নেই প্রশাসনের। একাধিকবার প্রতিবাদ করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি তাঁদের। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা অনেকবারই অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা নিজেরাও ওদের থামানোর চেষ্টা করেছি অনেকবার। তারপরেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ওরা মদ খেয়েই যাচ্ছে। মদ বিক্রিও বেড়েছে।” ঘটনার পরেই নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল প্রৌঢ়কে। তবে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহুকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে এ ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পুলিশ কোনও কাজ করে না।”  

Next Article