School Teacher Arrested: হাওড়ার বাড়িতে বহাল তবিয়তে থাকত আলকায়দা জঙ্গিরা! গ্রেফতার শিক্ষক আনসারি
Howrah: স্থানীয় এক মসজিদের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিল। অভিযোগ, বাড়িতেই জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল সে।
হাওড়া: দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে হাওড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। এলাকাবাসী তাঁকে চিনতেন শিক্ষক হিসেবে। কিন্তু ভিতরের গল্প ছিল অন্যরকম। তদন্ত করতেই বেরিয়ে এল আসল তথ্য। আদপে ওই ব্যক্তি শিক্ষক নয়। বরং বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আলকায়দার সদস্য। বুধবার তাকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল এসটিএফ।
ধৃত ব্যক্তির নাম আনিরুদ্দিন আনসারী (৩৭)। পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে আনিরুদ্দিন হাওড়ার বাঁকড়ায় থাকত। সূত্রের খবর, এলাকায় আনিরুদ্দিন শিক্ষক হিসেবেই পরিচিত। এলাকার মসজিদে দুঃস্থ শিশুদের শিক্ষকতা করত সে। অভিযোগ, বাড়িতেই জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল আনিরুদ্দিন।
বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভোপালে চারজন জঙ্গিকে সেখানকার দু’টি জায়গা থেকে গ্রেফতার করে সেই রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস)। তাদের সূত্র ধরেই আনিরুদ্দিনের নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গল এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদেরও নজরে ছিল এই জঙ্গি। গতকাল রাত্রে তাকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।এরপর আজ আনিরুদ্দিনকে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাকে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা জানতাম দুঃস্থ শিশুদের উনি পড়াত। ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। অনেকদিন ধরেই এখানে থাকত। সকালবেলা পড়াতে চলে যেত। আবার ১০টা নাগাদ ঢুকত। একবারই স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিল। সপ্তাহ দু’তিনেক মত ছিল। তারপর আবার চলে গিয়েছে। মাঝে মধ্যে অনেক মৌলানাদের দেখা যেত বাড়িতে আসতে।”
বস্তুত, আনিরুদ্দিন আনসারি আলকায়দা (আলকায়দা ইন ইসলামিক সাব কন্টিনেন্টাল) জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। এরা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা দল, তাদের সমর্থিত সংগঠনের সদস্য।
প্রসঙ্গত, গতমাসে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়ার ডানলপ নর্দান পার্ক থেকে গ্রেফতার হয় বাংলাদেশের জঙ্গি নূরনবি। জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জানা যায়, ডানলপের একটি ফ্ল্যাটে নূরনবি তমাল চৌধুরী পরিচয় দিয়ে থাকত।বাংলাদেশের গোয়েন্দা দফতর থেকে ইন্টারপোলে খবর আসে, এই জঙ্গি নূরনবি ডানলপ এলাকায় নর্দান পার্কে একটি আবাসনে রয়েছে। এক মহিলার সঙ্গে লিভ ইনও করত সে।
কলকাতা গোয়েন্দা অফিসার ও বরানগর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডানলপের এই আবাসনে হানা দেয়। তারপরই হাতেনাত পাকড়াও হয় সে। বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে পঁচিশটি নাশকতামূলক অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। এরপর আবার রাজ্যে গ্রেফতার আর এক জঙ্গি। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগের মুখে পড়ছে রাজ্যে নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: জিতেও স্বস্তি নেই! কাঁথির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছেড়ে NIA-এর দফতরে ২০ তৃণমূল নেতা