Cyclone Sitrang: আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে হাওয়া পুরসভার কন্ট্রোল রুম
Cyclone Sitrang: সাইক্লোনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে হাওড়াতেও। শুক্রবার এ নিয়ে জরুরি বৈঠক হয় পুরসভায়।
হাওড়া: ফের ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি। উপকূলের জেলাগুলির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং (Cyclone Sitrang)। এমনই আভাস দিফয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হাওড়া পুরসভার। সমস্ত জরুরি বিভাগের পুর কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সাইক্লোনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে হাওড়াতেও। শুক্রবার এ নিয়ে জরুরি বৈঠক হয় পুরসভায়। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই তাঁরা আগাম সতর্কতা হিসাবে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।
অতিবর্ষণের ফলে শহরের নিচু এলাকাগুলিতে যাতে জল জমে না যায় তার জন্য সাতটি পাম্প হাউস খুলে রাখা হবে। মোট ৫৭টি পাম্প চালানোর পাশাপাশি নিচু এলাকার জন্য অতিরিক্ত সাতটি পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিইএসসিকে বলা হয়েছে ঝড় বৃষ্টির সময় রাস্তার ধারে সব ত্রিফলা আলো বন্ধ রাখার জন্য। হাওড়া পুরসভায় ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হবে কন্ট্রোল রুম।
সাফাই কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী এবং মোটর ভেহিকেলস দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি স্কুলের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে যাতে বাসিন্দাদের নিরাপদে রাখা যায়। এর পাশাপাশি পানীয় জলের পাউচ, শুকনো খাবার এবং ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুজয় চক্রবর্তী। জমা জল যাতে দ্রুত নেমে যায় তার জন্য পুরসভার এজেন্সিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও কারণে কন্ট্রোল রুমের নম্বর ৬২৯২২৩২৮৭০ /৭১-এ যোগাযোগ করা যাবে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আন্দামান সাগরের উপর ঘনীভূত নিম্নচাপটি শনিবার গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। ২৩ অক্টোবর তা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ তারিখ তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা। এরপর এই ঘূর্ণিঝড় বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে ২৫ অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। তবে বাংলা না বাংলাদেশ, কার বরাতে দুর্যোগের মেঘ তা স্পষ্ট হতে পারে শনিবার নাগাদ।
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান-উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথমে একটি উচ্চ চাপ বলয় ঘূর্ণিঝড়কে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই উচ্চ চাপের ঘেরাটোপ থেকে বেরোলে পশ্চিমী অক্ষরেখা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করবে। ফলে সমুদ্রেই বাঁক নিয়ে ঘূর্ণিঝড় এগোবে বাংলা-বাংলাদেশের দিকে। বাঁক আগে নিয়ে ফেললে বাংলার বদলে বাংলাদেশের দিকেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে এই ছবি স্পষ্ট হবে শনিবার।”