কলকাতা: দেবীপক্ষের প্রথম দিনটা একেবারেই খুব একটা ভাল খবর দিয়ে শুরু হচ্ছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যেই নিম্নচাপের জেরে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত (Rain Forecast) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে খবরে কার্যত মুখ ভার হতে চলেছে আপামর বাঙালির। করোনা ভীতি কাটিয়ে পুজোর এই কটা দিন একটু আনন্দ করে কাটানোর পরিকল্পনা ছিল শহর তথা রাজ্যবাসীর। কিন্তু আলিপুর হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে সেই প্ল্যান মাটি হতে পারে। একটা স্বস্তির খবরও অবশ্য রয়েছে। সেটা হল-পুজোর মধ্যে বিরাট বড় দুর্যোগের কোনও আশঙ্কা নেই। কিন্তু বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
মৌসম ভবন সূত্র জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এতে দুশ্চিন্তা ও স্বস্তি, দুই-ই রয়েছে। কারণ, যখন বাংলা পুজোর মুডে মেতে উঠবে, তখনই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আগামী ১০ তারিখ অর্থাৎ পঞ্চমীর দিনই বঙ্গোপসাগরে আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ জন্ম নেবে। এর পর দফায় দফায় শক্তি বৃদ্ধি করবে সেই নিম্নচাপ। আন্দামান সাগর থেকে পূর্ব উপকূলে আসার পথে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা যেহেতু বেশি থাকে, তাই সেই দিকটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় যা-ই সৃষ্টি হোক না কেন, এর গতিপথ বাংলার মুখে না থাকায় প্রাথমিকভাবে স্বস্তি মিলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই নিম্নচাপের সম্ভাব্য গতিপথ অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূল। ঠিক যেভাবে ঘূর্ণিঝড় গুলাব অন্ধ্রের দিকে সরে যাওয়ায় বাংলার উপর এর তেমন প্রভাব পড়েনি। একই ভাবে এই নিম্নচাপও যদি আনুমানিক পথ ধরে এগোয়, তবে বড় দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে পুজোর বাংলা। বড় কোনও বিপদের সম্ভাবনা রইবে না বললেই চলে।
আরও পড়ুন: Coal Scam: সশরীরে হাজিরার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক-জায়া
কিন্তু, ওড়িশা বা অন্ধ্রেও নিম্নচাপ যদি ষষ্ঠী নাগাদ ধাক্কা মারে, তবে এ রাজ্যেও যে তার বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়বে, সেটা হলফ করেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিক্ষিপ্তভাবে ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বড় কোনও দুর্যোগ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সপ্তমীর পর অবশ্য ক্রমশ এই নিম্নচাপ কেটে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ফলে পুজোর শেষ কটা দিন নিশ্চিন্তে কাটানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।