জলপাইগুড়ি: একটানা তল্লাশি চালানোর পর অবশেষে তিস্তা নদী থেকে পাওয়া গেল মৃত যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। তিস্তা ব্রিজ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সুকান্ত নগড় কলোনী সংলগ্ন তিস্তা নদী থেকে দেহ উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ।
সিভিল ডিফেন্স কর্মী রমাপদ মণ্ডল জানান, “রাতে আমার কাছে ফোন আসে যে তিস্তা ব্রিজ থেকে একজন ঝাঁপ দিয়েছে।সূর্য ওঠার পর আমরা উদ্ধারকাজে বেরোই। আজ আমদের সিভিল ডিফেন্সের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। প্রতিবছরই অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠান ছেড়েই আমি আজ কাজে এসেছি। প্রায় ৪ ঘণ্টা কাজের পর পাঁচ কিলোমিটার দূরে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করি।”
প্রসঙ্গত, আজ একটি মর্মান্তিক ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসে। সম্পর্কের টানা পোড়েনের জেরে আত্মঘাতী হয় বছর ২৯ এর যুবক ধীরাজ প্রজাপতি। জানা গিয়েছে, ধীরাজ ছিলেন বিএসএফ বাড়ির ছেলে। তবে তিনি নিজে বিএসএফ-এ কর্মরত ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে অসমের (Assam) একটি মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এবার কোনও কারণে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে।
এরপর গতকাল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোয় ওই যুবক। রাস্তায় মদ্যপান করে সে। পরে পরিবারের সদস্যদের হোয়াটস অ্যাপে গ্রুপে ভিডিও কল করে। সেই ফোন চলাকালীনই তিস্তা ব্রিজে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেয় সে। মুহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায় সবকিছু। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলের স্রোতে হারিয়ে যায় একটি তরতাজা প্রাণ।
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এই পরিবার। বর্তমানে রানিনগর এলাকায় বাড়ি বানিয়েছেন। দাদা মনোজ প্রজাপতি ও তার স্ত্রী উভয়েই বিএসএফ কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তারাই ভাই ধীরাজ প্রজাপতিকে বাড়ির সামনে একটি দোকান বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানেই ধীরাজ ব্যবসা করতো বলে জানা গিয়েছে।
গতকাল রাতে এই ঘটনার পরেই জলপাইগুড়ি সদর এস ডি ও এবং অতিরিক্ত জেলা শাসকের তৎপরতায় সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং স্থানীয় ডুবুরিদের দিয়ে নদীতে খোঁজ চালানো শুরু করে। সোমবার সকাল থেকে নদীতে তল্লাশিতে নামে বিএসএফ। এরপর উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ।
আরও পড়ুন: Corona: সপরিবারে করোনা আক্রান্ত শিক্ষিকা, ভয়ে-আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল স্কুল