Land Dispute: কিছু ঠাওর হওয়ার আগেই রাতারাতি জমি চলে গিয়েছে অন্যের নামে! কীভাবে সম্ভব
Jalpaiguri: বিতর্ক প্রায় ২০ ডেসিমল জমি নিয়ে। জলঢাকা সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর পাশেই এই জমি। ধূপগুড়ির মাগুরমাড়ি-২ অঞ্চলের বাসিন্দা নীলারানি রায়, বীরেন্দ্রনাথ রায়, সুরেন্দ্রনাশ রায়, চিলেশ্বরী রায় ও গোপাল রায়। তাঁদের দাবি, ওই ২০ ডেসিমল জায়গা তাঁদের। কিন্তু খাতায় কলমে তা এখন হয়ে গিয়েছে অন্য কারও।
ধূপগুড়ি: কিছু বুঝে ওঠার আগেই জমি হাতবদল হয়ে গিয়েছে। একজনের জমি অন্য জনের নামে রেজিস্ট্রি করতে গেলে, দুই পক্ষেরই আঙুলের ছাপ দরকার হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। এক পক্ষের কোনও আঙুলের ছাপ না নিয়েই, এমনকী সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও, জমি চলে গিয়েছে অন্য কারও নামে। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকে।
বিতর্ক প্রায় ২০ ডেসিমল জমি নিয়ে। জলঢাকা সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর পাশেই এই জমি। ধূপগুড়ির মাগুরমাড়ি-২ অঞ্চলের বাসিন্দা নীলারানি রায়, বীরেন্দ্রনাথ রায়, সুরেন্দ্রনাশ রায়, চিলেশ্বরী রায় ও গোপাল রায়। তাঁদের দাবি, ওই ২০ ডেসিমল জায়গা তাঁদের। কিন্তু খাতায় কলমে তা এখন হয়ে গিয়েছে অন্য কারও। ওই জমি এখন মেঘা রায়দের নামে করে দেওয়া হয়েছে।
আর এই নিয়েই এখন বিএলআরও অফিসে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে গোপাল রায়দের। বিএলআরও অফিসে সক্রিয় দালালচক্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁদের বক্তব্য, বিএলআরও অফিসের দালালদের সাহায্য নিয়েই এই জমি তাঁদের অজান্তে হাতবদল করে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারীদের বক্তব্য, ২০১৭ সালে ওই ২০ ডেসিমল জমি কেটে অন্যের নামে করে দেওয়া হবে বলে বিএলআরও অফিস থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল তাঁদের। সেই নোটিস পেয়ে তাঁরা ছুটে এসেছিলেন বিএলআরও অফিসে। লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, ওই জমির মালিক তাঁরাই এবং কোনওভাবে তা বাদ দেওয়া যাবে না। সেই সময় বিএলআরও অফিস থেকে তাঁদের আশ্বস্তও করা হয়েছিল বলে দাবি।
এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। জমির হাতবদলের এই বিষয়টি প্রথমে তাঁদের নজরে আসে ২০১৯ সালে। বাড়ির লোকেরা যখন অনলাইনে জমির নথির তথ্য খুঁজছিলেন, তখন দেখেন জমির রেকর্ড আর তাঁদের নামে নেই। এরপরই তাঁরা ফের ছুটে যান বিএলআরও অফিসে। বিষয়টি জানান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ। এমনকী ধূপগুড়ি থানাতেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। তাতেও কাজের কাজ কিছু এখনও হয়নি বলেই দাবি অভিযোগকারীদের।
এই নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ধূপগুড়ির বিএলআরও জয়দীপ রায় ঘোষের সঙ্গে। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, যে সময়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেই সময়ের কেউ এখন এই অফিসে নেই। বললেন, “ওঁদের বলা হয়েছে দরখাস্ত জমা দিতে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখে দেব বলেছি। যদি দেখা যায়, জমি ভুল ভাবে রেকর্ড হয়েছে, তাহলে ওই জমি যাতে ওঁর নামে ফেরত যায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।” বিএলআরও জানাচ্ছেন, দরখাস্ত করলে দু’পক্ষকে ডাকা হবে। যদি অনুসন্ধান করে দেখা যায় কোথাও ভুল রয়েছে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।