Jalpaiguri BJP: জেলা সভাপতিই লোক লাগিয়েছিল দলের প্রার্থীকে হারাতে! বিস্ফোরক অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 02, 2022 | 12:33 PM

Jalpaiguri BJP: বিধানসভা নির্বাচনের আগে জলপাইগুড়িতে একাধিক জায়গায় গৌষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরও চলে।

Jalpaiguri BJP: জেলা সভাপতিই লোক লাগিয়েছিল দলের প্রার্থীকে হারাতে! বিস্ফোরক অভিযোগ
অভিযোগ সামনে আনলেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা

Follow Us

জলপাইগুড়ি: একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে আসানসোলের উপ নির্বাচন, পরপর কয়েকটি ভোটের ফল হতাশ করেছে গেরুয়া শিবিরকে। ২০২৪-কে সামনে রেখে যখন সব দলই তৎপরতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, তখন হারের কারণ নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করছে পদ্ম শিবিরও। তবে এই আবহে সামনে আসছে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অনেক নেতা, নেত্রীই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন। সম্প্রতি অগ্নিমিত্রা পলের ভাইরাল অডিয়োতে শোনা গিয়েছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর এবার হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ময়নাগুড়ির বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। তাঁদের দাবি, বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীকে হারাতে উস্কানি দিয়েছিলেন খোদ জেলা সভাপতি। শুধু তাই নয়, জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর সঙ্গে তৃণমূলের গোপন যোগ থাকার কথাও বলছেন একাংশ।

২০২১-এ ময়নাগুড়ি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হন কৌশিক রায়। জয়ীও হন তিনি। তবে তাঁকে হারানোর জন্য নাকি জেলা সভাপতির নির্দেশে তাঁর অনুগামীরা কর্মীদের উস্কানি দিয়েছিল। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সেই অভিযোগ এনে এবার প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে জেলা সভাপতি বদলের দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়ায় ময়নাগুড়িতে।

মহিলা মোর্চার সদস্যদের দাবি, বিধানসভার নির্বাচনের আগে জেলা সভাপতি তাঁদের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন কৌশিক রায়কে হারাতে হবে। তাঁরা আরও বলছেন, দলীয় প্রার্থীকে হারানোর জন্য যাঁরা উস্কেছিলেন, এখন তাঁরাই মণ্ডল কমিটির সদস্য। তাই এদের নেতৃত্ব মানা হবে না। নতুন মণ্ডল কমিটি তৈরির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এ দিন বিজেপি নেত্রী রত্না রায়, বুলু তরফদারেরা জানান, বাপী গোস্বামীর কথা না শুনে ময়নাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কৌশিক রায়কে জিতিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা আরও বলছেন, কঠিন সময়ে যাঁরা দলে ছিল, তাঁদের কোনও রকম পদে রাখা হয়নি। এর ফলে বিজেপি দল দুর্বল হয়ে পড়ছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

এব্যাপারে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয় বলেই সূত্রের খবর। তাঁর শাসক দলের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার কথাও বলছেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। বিধানসভা ভোটের আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়িতে। দলীয় কার্যালয়গুলিতে ভাঙচুরের ছবিও দেখা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আসানসোল উপনির্বাচনের পর বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। অডিয়ো ক্লিপটিতে অগ্নিমিত্রা পালকে বলতে শোনা যায়, লোকসভা উপনির্বাচনে তিনি কেন পরাজিত হয়েছেন, তার খোঁজ নিতে চান তিনি। আর সেই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। যদিও অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে রাজ্য বিজেপিতে যে একই অভিযোগ বারবার উঠছে, তা বেশ স্পষ্ট।

Next Article