Smuggling: উপরে বাঁশ, আর নিচেই ছিল আসল জিনিসটা! কলকাতা আসার পথে লরিটাকে আটকাতেই বড় চমক
Smuggling: ঘটনাটি ঘটেছে গয়েরকাটা থেকে ধূপগুড়িগামী জাতীয় সড়কের সোনাখালি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। এই রাস্তা দিয়েই যে পাচারকারীরা যাচ্ছে গোপন সূত্রে সেই খবর আগেই এসে গিয়েছিল পুলিশের কাছে। তারপরই এখানে নাকা চেকিং বসায় বন দফতর।

ধূপগুড়ি: বারবার ধরছে পুলিশ! কিন্তু তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই পাচারকারীদের। ফের বড়সড় পাচার চক্রের পর্দাফাঁস হয়ে গেল ধূপগুড়িতে। আবারও আন্তর্জাতিক কাঠ পাচারচক্রের ছায়া উত্তরবঙ্গের জাতীয় সড়কে। বাঁশের আড়ালেই চলছিল পাচার। কিন্তু, পুলিশি অভিযানেই সব ধরা পড়ে গেল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালান মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। তাতেই আটক হয় একটি বাঁশ বোঝাই লরি। আর সেই লরির ভিতর থেকেই উদ্ধার হল চোরাই বার্মা সেগুন কাঠ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে গয়েরকাটা থেকে ধূপগুড়িগামী জাতীয় সড়কের সোনাখালি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। এই রাস্তা দিয়েই যে পাচারকারীরা যাচ্ছে গোপন সূত্রে সেই খবর আগেই এসে গিয়েছিল পুলিশের কাছে। তারপরই এখানে নাকা চেকিং বসায় বন দফতর। সন্দেহভাজন একটি লরিকে থামানো হয়। এদিকে লরিতে থরে থরে সাজানো ছিল বাঁশ। তল্লাশি শুরু হতেই চোখ একেবারে কপালে উঠে যায় বনকর্মীদের। দেখা যায় উপরে বাঁশ আর নিচে থরে থরে সাজানো চোরাই বার্মা সেগুন কাঠ।
সূত্রের খবর, কাঠগুলি অসমের গুয়াহাটি থেকে পাচার করে কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই কাঠ-সহ লরিটিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। একজন রাজেন্দ্র হাজাম, বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানে। আর একজন ঝড়খণ্ডের জিতেন্দ্র সিং। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাচারচক্রের উৎস ও গন্তব্য জানার চেষ্টা চলছে।
