Jalpaiguri: ক্লাস এইটের রুমে এ কী চলছে? সহপাঠীর হাতেই যৌন হেনস্থার শিকার নাবালিকা
Jalpaiguri: দু'টি পিরিয়ডের মাঝে চলা বিরতিতে সেই নাবালিকার পিছনের সিটে বসেছিল ওই অভিযুক্ত নাবালক। ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করার চেষ্টা করে সে, তারা জামা ধরে টানাহিঁচড়া করে বলে অভিযোগ।

জলপাইগুড়ি: একটা স্কুল। তার অন্দরে এমন অভিযোগ ওঠা কী স্বাভাবিক? হয় তো না। কিন্তু আপাতত উঠছে। ঘটনা জলপাইগুড়ির। একটি বেসরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করল সেই স্কুলের একই ক্লাসের এক ছাত্রী। আর তারপরেই চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
শনিবার জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে্ সেই নাবালিকার পরিবার। তাতে তারা জানিয়েছে, গতমাসের ২৩ তারিখ তাদের মেয়েকে ক্লাসের মাঝেই যৌন নিগ্রহ করেন ওই ক্লাসেই পঠনরত এক নাবালক।
দু’টি পিরিয়ডের মাঝে চলা বিরতিতে সেই নাবালিকার পিছনের সিটে বসেছিল ওই অভিযুক্ত নাবালক। ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করার চেষ্টা করে সে, তারা জামা ধরে টানাহিঁচড়া করে বলে অভিযোগ। এমনকি, সেই ছাত্রীর দিকে নোংরা ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা করে সে। যার প্রতিবাদ করে সেই নাবালিকা। তখন তাকে ভয় দেখাতে শুরু করে ওই অভিযুক্ত নাবালক। মুখ খুললে ‘ব্যবস্থা নেওয়ারও’ হুঁশিয়ারি দেয় সে।
এরপরই ভয়ে ভয়ে পরিবারকে সবটা জানায় সেই নাবালিকা। তার পরিপ্রেক্ষিতে নাবালিকার ক্লাস টিচারকে ফোন করে পরিবার। সেই শিক্ষিকা ওই নাবালিকার পরিবারকে জানায়, অভিযুক্ত মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নয়, এমন কাজ আগেও করেছে।
এরপর দিন সেই বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। কিন্তু তাদের সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার ও সহযোগিতা করেননি বলেই প্রধানশিক্ষকে বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে পরিবার। এমনকি, এই রকম একটা ঘটনা ঘটার পরে দু-তিন দিনের আবার সেই ছাত্রীকে স্কুলে আসতে বলে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্কুলে যেতেই আবার শুরু হয় মানসিক নির্যাতন, নানা কটু কথার সম্মুখীন হতে হয় নাবালিকাকে, অভিযোগ পরিবারের। এরপরই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ও পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয় তারা। শনিবার দায়ের হয় অভিযোগ।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান মান্না মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে বলেন, CWC ছাড়াও পুলিশ নিজের মতো করে স্বাধীন ভাবে তদন্ত শুর করেছে।





