Dhupguri: গরম হাতা দিয়ে খুদের হাতে ছ্যাঁকা প্রিন্সিপালের, চাপের মুখে বললেন, ‘আমার ভুল হয়েছে’
Dhupguri: পড়ুয়াদের উপর নানাভাবে মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে সঙ্গীতা থাপা নামে ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পড়ুয়ারা দুষ্টুমি করলে তাদের মুখে লঙ্কাও গুঁজে দিতেন এই প্রিন্সিপাল। এখন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
মেটেলি: বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রীর উপর অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হস্টেলের মধ্যে করা হয়েছে অত্যাচার। হাতে পায়ে গরম লোহা দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মেটেলি ব্লকের চালসা এলাকায়। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে ঘটনার কথা স্বীকার করছেন প্রিন্সিপাল। একইসঙ্গে সাফাইও দিয়েছেন।
পড়ুয়াদের উপর নানাভাবে মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে সঙ্গীতা থাপা নামে ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পড়ুয়ারা দুষ্টুমি করলে তাদের মুখে লঙ্কাও গুঁজে দিতেন এই প্রিন্সিপাল। এখন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুলে হাজির হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোকজনের পাশাপাশি নির্যাতিত পড়ুয়ার সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁরাই জানাচ্ছেন, চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন প্রিন্সিপাল।
ক্যামেরার সামনেও স্বীকার করেছেন দোষ। বলছেন, “গোটা শরীরে কিন্তু করিনি। রান্নার হাতা শুধু ওর হাতে আর পায়ে লাগিয়েছিলাম। তারপর ওষুধও লাগিয়ে দিয়েছিলাম। আর এর আগে একবার যখন তরকারি খেতে চাইছিল না তখন তরকারি খেতে বলেছিলাম জোর দিয়ে। তবে এমনটা করা আমার উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে আমি মানছি। বাড়িতে ওষুধ না লাগিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। সেটা নিয়ে যাওয়া হয়নি। সেটাও আমার ভুল।” অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক সদস্য বলছেন, “উনি ওনার ভুল স্বীকার করেছেন। আমরা বাচ্চার মা-বাবাকে জানিয়েছি। ওনারা আসার পরেই আমরা থানায় অভিযোগ জানাব।”