Baby Elephant in Doors: পচে-গলে গিয়েছে শাবকের দেহ, নিয়ে যাচ্ছে ওরা.. চারদিন পরও ঠায় তাকিয়ে মা

Baby Elephant in Doors: শুঁড়ে করে নিয়েই রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে পৌঁছেছিল মা হাতি। বনকর্মীরা তিনদিন ধরে চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।

Baby Elephant in Doors: পচে-গলে গিয়েছে শাবকের দেহ, নিয়ে যাচ্ছে ওরা.. চারদিন পরও ঠায় তাকিয়ে মা
উদ্ধার হল মৃত শাবকের দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2022 | 9:14 PM

ধূপগুড়ি: যাকে গর্ভে ধারণ করে মা, সেই সন্তানকে চোখের সামনে মরতে দেখা যে একজন মায়ের জন্য কতটা কষ্টকর, তা বোধহয় একজন মায়ের পক্ষেই অনুভব করা সম্ভব। গত চারদিন দরে ডুয়ার্স বাসী যে দৃশ্য দেখেছে তার থেকে স্পষ্ট মায়ের স্নেহ শুধু মানুষ নয়, যে কোনও প্রাণীর জন্যই সমানভাবে সত্যি। শাবকের মৃত্যু হলেও গত চারদিন ধরে সেই মৃত শাবককে চোখের আড়াল হতে দেয়নি মা হাতি। বনকর্মীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও মা ও তার সঙ্গী হাতিরা নড়েনি একচুলও। ফলে মৃত শাবককে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে চারদিন পর তাকে উদ্ধার করলেন বন দফতরের কর্মীরা।

হস্তিশাবকের সেই পচা-গলা দেহ সোমবার উদ্ধার করেছে বন দফতর। জেসিবি মেশিন দিয়ে সেই হস্তি শাবকের পচা গলা দেহ তুলে নিয়ে গাড়িতে করে পাঠানো হয়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে বনদফতর। কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান মৃত হস্তিশাবকটি ছিল মেয়ে হাতি।শাবককে সরানো সম্ভব হলেও মৃত হস্তি শাবকের মা ও সঙ্গে দুই হাতি ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। শাবকের দিকেই যেন তাকিয়ে রয়েছে তারা।

ডুয়ার্সের চুনাভাটি চা বাগানে ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে গত বৃহস্পতিবার। ঠিক তার পরের দিন বাগানের শ্রমিকরা দেখতে পান এক মৃত শাবককে শুঁড়ে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক মা হাতি। এরপর দীর্ঘ তিন দিন পেরিয়ে গেলেও চোখে জল নিয়ে মা হাতি পাহারা দিতে থাকে তাকে। কয়েক কিলোমিটার পেরিয়ে সেই হাতি এসে পৌঁছেছিল ডুয়ার্সের বন্ধ রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে। বন কর্মীরা বারবার চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারছিলেন না।

প্রচণ্ড গরমে সেই হস্তিশাবকের শরীরে পচন ধরতে শুরু করেছিল। তবুও মা হাতি সেই শাবককে ছাড়তে নারাজ ছিল। বন দফতর কয়েকদিন ধরে নজরদারি চালায় ড্রোনের মাধ্যমে। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। সোমবার সকালেও শাবকের দেহের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় হাতিগুলিকে। সকালের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে মা হাতি এবং বাকিরা কিছুটা দূরে সরে যেতেই বন কর্মীরা আসরে নামেন। জেসিবি মেশিন নিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়।