ধূপগুড়ি: ছিল জ্বর, সঙ্গে পেট খারাপ। ওই অবস্থাতেই ১২ বছরের কিশোরীকে হাসপাতালে এনেছিল পরিবারের লোকজন। কিন্তু, প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ‘ফিট’ সার্টিফিকেট দিয়েছিল চিকিৎসকেরা। ছেড়েও দিয়েছিল হাসপাতাল থেকে। কিন্তু, বাড়ি ফিরতেই ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি। হাসপাতালে আনতেই বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার অভিযোগ। একাধিক বিভাগে ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা মেলেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। শেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল ওই কিশোরী। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের ভূমিকা। হাসপাতালের বিএমওএইচ-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় শোরগোল এলাকায়।
মৃত নাবালিকার নাম রিয়া যাদব। বাড়ি ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর-পেট খারাপজনিত সমস্যা নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে ২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, বাড়ি নিয়ে যেতেই ফের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। দেরি না করে দ্রুত ফের রিয়াকে হাসপাতালে আনে পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বহির্বিভাগে। কিন্তু, সেখানে নিয়ে গেলেও মেলেনি চিকিৎসা পরিষেবা।
ফের রিয়াকে বহির্বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, যতক্ষণে চিকিৎসক তাকে দেখেন ততক্ষণে সব শেষ। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে ওই কিশোরী। তার বাড়ির লোকজন বলছে, আগে ডাক্তার দেখলে এমনটা হত না। হাসপাতালে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরতে গিয়েই তো সব সময় চলে গিয়েছে। যদিও এ ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।