জলপাইগুড়ি: পোলট্রি ফার্মে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের সাকোয়াঝোড়া ২ নং অঞ্চলের ঝালটিয়া সংলগ্ন বালাকুড়া গ্রামে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ রায় (২২)। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস রায়ের পোলট্রি ফার্মে কাজ করতেন ওই যুবক।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ওই যুবক পোলট্রি ফার্মে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যায় লোডশেডিং হয়ে যায়। তখন অন্ধকারেই টর্চের আলো জ্বেলে কাজ করছিলেন তিনি। বিদ্যুতের আলো ফিরে এলে ওই যুবক বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন। পোলট্রি ফার্মে তরিদাহত হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। ধুপগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই দুর্ঘটনার ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে।
গত মাসে রাজ্যে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ২৪ পরগনারই মতিঝিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ কিশোরীর। পুরো রাস্তা জলমগ্ন থাকায়, সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ল্যাম্পপোস্টে হাত দেয় এক কিশোরী। তখনই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় এক জন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় অপরজনও। মৃত দুই কিশোরীর নাম শ্রেয়া বণিক (১২), অনুষ্কা নন্দী (১৩)।
খড়দহে বাড়িতেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ের। তার আগে খড়দহেই দ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের তিন সদস্যের। খড়দার পাতুলিয়াতে নিজেদের বাড়িতে জমা জলেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট দম্পতি ও তাঁদের কিশোর ছেলের। খড়দহের ই সরকারি আবাসনে নিজের স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বছর চল্লিশের রাজা দাস। কিছুদিন ধরেই বৃষ্টির জেরে আবাসনের ভেতরেও জল জমেছে। জমা জলেই এদিন ঘরের মধ্য়েই বাড়ির কোনও কাজে বিদ্যুত্ সংযোগ করতে গিয়েছেল রাজা। সেইসময়ে তিনি বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী পৌলমী। তিনিও বিদ্যুত্স্পৃষ্ট ( Electrocution) হন। মা বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন তাঁদের এগারো বছরের ছেলেও। রাজ্যে গত এক মাসেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১০ জনের।
আরও পড়ুন: Weather Update: ঝিরঝিরে বৃষ্টি চতুর্থীতে, পুজোর কোন দিন থেকে শুরু নিম্নচাপের আসল খেলা?