Durga Puja: দুর্গাপুজোর রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বিবাদ, মারামারিতে আহত ৬, উত্তেজনা বানারহাটে
Durga Puja: প্রতি বছরই দুর্গাপুজো উপলক্ষে বানারাহাটে বড় মেলার আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, এই দুর্গাপুজোর মেলার আয়োজনের জন্য প্রতি বছর স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, গতবারের কমিটি পুরনো কোনও হিসাবে না দেখিয়েই ফের পুজো করার প্রস্তাব দেয়।
বানারহাট: দুর্গাপুজোর মেলার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিলই। এদিকে এরইমধ্যে গত বছরের পুজোর হিসাবে না দিয়ে নতুন করে পুজো শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল কমিটি। তাতেই বেঁকে বসেন পুজো কমিটির একাংশের সদস্যরা। তৈরি হয় সমান্তরাল দ্বিতীয় কমিটি। সেই কমিটির ডাকা মিটিংয়েই ব্যাপক উত্তেজনা। হাতাহাতি। আহত বেশ কয়েকজন। শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির বানারহাটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ।
প্রতি বছরই দুর্গাপুজো উপলক্ষে বানারাহাটে বড় মেলার আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, এই দুর্গাপুজোর মেলার আয়োজনের জন্য প্রতি বছর স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, গতবারের কমিটি পুরনো কোনও হিসাবে না দেখিয়েই ফের পুজো করার প্রস্তাব দেয়। এমনকী তাঁদের প্রস্তাবে একাংশ সম্মত না হলে তাঁরা গায়ের জোর দেখাতে থাকে। প্রতিবাদে কমিটির একাংশ মেলা পরিচালনের জন্য নতুন কমিটি তৈরি করেন। শনিবার বিকালে তাঁদের তরফে মিটিং ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ, সেই মিটিংয়ে পুরনো কমিটির লোকজন ঢুকে অন্যদের মারধর শুরু করে। ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বানারহাট থানার পুলিশ।
নতুন কার্যকরী কমিটির সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী অভিযোগ, বানারহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা পুরাতন কমিটির সম্পাদক কুটি নন্দীর উপস্থিতিতে রোজি খান, ফিরোজ খান-সহ তাদের অনুগামীরা ঘরে ঢুকে মস্তানি শুরু করে। মিটিং ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাঁদের কয়েকজন আটাকাতে গেলে তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুট্টি নন্দী। তাঁর দাবি, আমন্ত্রণ পেয়েই তাঁরা মিটিংয়ে এসেছিলেন। এমনকী তাঁদের কমিটির বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠছে তাও ভিত্তিহীন বলে দাবি তাঁর। তাঁর এও দাবি, তিনি নিজেই মার খেয়েছেন। রড দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে তাঁর উপর। ঘটনায় এখনও উত্তেজনার রেশ রয়েছে বানারহাটে।