জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরে হাতির (Elephant) হানা। সকাল-সকাল শহরে ঢুকে পড়ে দু’টি হাতি। রীতিমত এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।
অনুমান করা হচ্ছে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল ছেড়েই তিস্তার পাড় ধরে দু’টি হাতি শহরে হানা দেয়। এরপর তারা চলে আসে সোজা কোভিড হাসপাতাল (COVID Hospital) সংলগ্ন এলাকায়। জানা যাচ্ছে, হাতির হানায় ভেঙে গিয়েছে হাসপাতালের দেওয়াল। এরপর ওই হাতি দু’টি জলপাইগুড়ি এসি কলেজ বয়েস হোস্টেলের পিছনে থাকা করলা নদী (Karola River) সংলগ্ন এলাকার একটি ঝোপে আশ্রয় নেয়।
সূত্রের খবর, হাতি দু’টি পূর্ণবয়স্ক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী,পবিত্র নগর কলোনি সংলগ্ন এবিপিসি ক্লাবের (ABPC Club) খেলার মাঠের সীমানা প্রাচীর টপকে হাতি দুটি এই মুহূর্তে কবর খানায় রয়েছে। উপস্থিত রয়েছে এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের কর্মীরা। সঙ্গে বনদফতর।
এদিকে, শহরে হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় প্রচুর মানুষ ভিড় জামাতে শুরু করেছেন। এক এলাকাবাসী জানান, “সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি বাড়ির পাশে দু’টি হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নদীর পাড় দিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ঢুকে গেল। তারপর আর দেখতে পেলাম না কিছু।”
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে লোকজনের ভিড়। পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন,”এটি আমার এলাকা। শুনেছি সকাল থেকে হাতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। কিন্তু ভিড় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এইভাবে ভিড় বাড়তে থাকলে ওদের এলাকা থেকে বের করে আনা অসম্ভব হয়ে যাবে। কারণ ওদেরও জায়গা দিতে হবে এলাকা ছাড়ার। কিন্তু সেই জায়গা ওরা পাচ্ছে না। তাই অবিলম্বে জারি করা হোক ১৪৪ ধারা।”
এদিকে, গত পরশু দিন বাঁকুড়া থেকে বেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানে গলসি ও আউশগ্রামে ঢুকে পড়ে ৪৯ টি হাতির একটি দল। তবে শুক্রবার দুপুর নাগাদ লোকালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জের জঙ্গলের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় হাতির দলটিকে।
জঙ্গলের চারপাশ ঘিরে নজরদারি চালান বনকর্মীরা। বৃহস্পতিবার হাতি তাড়ানোর কাজ করতে গিয়ে পদে পদে এলাকার মানুষজনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বনকর্মীদের। উত্তেজিত জনতার হাতে মারও খেতে হয়েছে। দামোদর নদ পেড়িয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আউশগ্রামে ঢুকে পরে ওই হাতির দল। তারপর তারা আউশগ্রামের সরগ্রাম, ভোতা, তকিপুর, নওয়াদা প্রভৃতি গ্রামের মাঠে দাপিয়ে বেড়ায়।
আরও পড়ুন: Accident:হেলমেট ছাড়া সফর, বাসের ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে সোজা রাস্তায়, আশঙ্কাজনক ৩