Potato Seed: বস্তায় নামজাদা ব্র্যান্ডের লোগো, রমরমিয়ে চলছে নকল আলুবীজের কারবার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 15, 2021 | 12:27 AM

North Bengal: চলতি বছরে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা আলুবীজের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় বাজারে ওই দামে কেউ আলুবীজ কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

Potato Seed: বস্তায় নামজাদা ব্র্যান্ডের লোগো, রমরমিয়ে চলছে নকল আলুবীজের কারবার
আলুবীজের ব্যবসাতেও লোক ঠকানো। ফাইল চিত্র।

Follow Us

ধূপগুড়ি: নামী সংস্থার নকল লোগো সাঁটিয়ে নিম্নমানের আলুবীজ বিক্রি চলছে উত্তরবঙ্গে। এই অবৈধ কারবারের রমরমা সেখানে। শুধু তাই নয়, খারাপ আলু বীজের বস্তায় পড়ছে সার্টিফায়েড বীজের তকমা। সেই বীজ কিনে ডাহা ঠকছেন আলু চাষিরা।

ঠিক যেন নামী কোম্পানির মোবাইল হ্যান্ডসেটের হুবহু নকল বানিয়ে বাজারে ছাড়ার মতো ঘটনা। উত্তরবঙ্গে আলুবীজের বাজারেও এখন ঠিক সেই কারনামাই চলছে। সাধারণত আলুবীজ কেনার সময় দেখা হয়, বস্তার গায়ে লেখা লোগো, বাজারের ভাষায় যাকে বলে মার্কা। পঞ্জাব থেকে আসা প্রতিষ্ঠিত বীজের ব্র্যান্ডের প্রতি নজর থাকে চাষিদের। মার্কা ছাড়াও বস্তার গায়ে পরিচিত লোগো দেখে কেনেন চাষিরা।

এই সুযোগ নিয়েই চলছে জালিয়াতি। অভিযোগ, পরিচিত ব্র্যান্ডের বীজের বস্তার গায়ে আঁকা মার্কা এবং লোগো হুবহু নকল করা হচ্ছে। নামে কিছুটা হেরফের করে খারাপ মানের বীজকে নামী ব্র্যান্ডের বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাজারে। রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই কাজ করছে জালিয়াতরা। চোখে ধুলো দিয়ে সস্তা দামে তা কৃষকদের গছিয়ে দেওয়া হয়।

কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আলুবীজের বস্তার গায়ে ট্যাগ হিসেবে যে স্লিপ লাগানো থাকে, তাতে কোথাও ‘সার্টিফায়েড’ শব্দটির উল্লেখ থাকে না । ‘সার্টিফায়েড’ নামে বিক্রি হওয়া এই বীজগুলিকে আসলে বলা হয় ‘ট্রুথফুল লেভেল সিড’ । অর্থাৎ কারবারিদের মুখের কথায় বিশ্বাস করে ‘সার্টিফায়েড বীজ’ কেনেন চাষিরা। তবে সেই বীজ থেকে আলুর ফলন মার খেলে তার ভর্তুকি পেতে নাজেহাল হতে হয় চাষিদের।

উত্তরবঙ্গ হিমঘর মালিক সংগঠনের সম্পাদক মনোজ সাহা বলেন, “এর আগেও বহুবার হিমঘরে সংরক্ষিত আলুতে পচন ধরায় আমাদের দিকে আঙুল উঠেছিল। কিন্তু মজার বিষয় হল প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই পচা আলু সরকারি ভাবে গবেষণাগারে পরীক্ষার পর দেখা গেছে হিমঘর নয় বরং বীজের সমস্যার জন্যেই ফলন এবং সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে।”

ধূপগুড়ির সহকারি কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মনের বক্তব্য, “আমরা বীজের মরসুমে নিয়মিত বাজারে নজরদারি চালাই। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সহায়তাও নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি সমস্ত বীজ রোপনের আগে সঠিক পদ্ধতিতে কাটা এবং তা অবশ্যই বিজ্ঞানসন্মত ভাবে শোধন করার কথা বলি। কৃষক, ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন কোন জায়গায় আলুবীজ নিয়ে কোনও রকম জালিয়াতির খবর পেলেই আমাদের জানাতে যাতে আমরা দ্রুত কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি।”

চলতি বছরে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা আলুবীজের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় বাজারে ওই দামে কেউ আলুবীজ কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এই সুযোগে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভাল বীজের সঙ্গে নিম্নমানের বীজ বিক্রি করা হচ্ছে। স্থায়ী আড়ত বা আলুর গদির বদলে বীজের মরসুমে যত্রতত্র গজিয়া ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলি থেকে ছড়িয়ে পড়ছে নিম্নমানের আলুবীজ। নজরদারির অভাবকে কাজে লাগিয়ে সস্তা দামের টোপ দিয়ে ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ফাঁদে ফেলছে অসাধু বীজ কারবারিরা।

আরও পড়ুন: Tathagata Roy: টুইটার, ফেসবুকে বদলে গেল তথাগত রায়ের ‘ব্যক্তিগত পরিচিতি’, বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত?

Next Article