Tathagata Roy: টুইটার, ফেসবুকে বদলে গেল তথাগত রায়ের ‘ব্যক্তিগত পরিচিতি’, বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত?

BJP: তথাগত রায় অবশ্য স্পষ্টতই লিখেছেন, ৩১ বছর ধরে যে দলের সঙ্গে সম্পর্ক, তা ছাড়ার কোনও পরিকল্পনাই নেই।

Tathagata Roy: টুইটার, ফেসবুকে বদলে গেল তথাগত রায়ের 'ব্যক্তিগত পরিচিতি', বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত?
এবার তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে অভিযোগ। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2021 | 11:54 PM

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির অধিকাংশ নেতা একদিকে। উল্টোদিকে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে চলেছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল। তাঁকে নিয়ে একেবারে ‘নাস্তানাবুদ’ দল। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তথাগত রায়ের প্রসঙ্গ উঠলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, ‘দিল্লি যা বলার বলবে’। এসবের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের তথ্যে ‘সামান্য বদল’ আনলেন তথাগত। যা ঘিরে তৈরি হল নতুন জল্পনা! বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত? যদিও সে জল্পনা উড়িয়েছেন তথাগত নিজেই।

রবিবার রাতে হঠাৎই তথাগত রায় তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘সাধারণ একটা তথ্য: আমার প্রোফাইলের বিবরণীতে একটা ছোট্ট বদল এনেছি। এতদিন যেখানে Pic shows iconic Rabindra Setu লেখা ছিল। সেখানে এখন Lately whistleblower লেখা হয়েছে।’

এই একই পরিবর্তন তথাগত রায় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও করেন। শুরু হয় জোর জল্পনা। তবে কি এবার বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে চলেছেন বর্ষীয়াণ এই নেতা, কমেন্টে অনেকে তা জানতে চান। এরপরই আরও একটি পোস্টে তথাগত রায় লেখেন, ‘দয়া করে মাথায় রাখবেন প্রোফাইল বিবরণীতে সামান্য বদল আনা হয়েছে।’ সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে তথাগত রায় লেখেন, ‘আমি বিজেপি ছাড়ছি না। এই দলটার সঙ্গে আমার ৩১ বছরের সম্পর্ক।’ তবু এত সহজে কি আর জল্পনার আগুন নেভে!

রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যখন বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। তিন কেন্দ্রে জামানত জব্দ হয়েছে। এই ফল সামনে আসার পরই দিলীপ ঘোষকে নজিরবিহীন ভাষায় কটাক্ষ করেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা ভাঁড়ামো করছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন তথাগত।

বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় বলেছিলেন, “এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি প্রার্থী চয়নের ব্যাপারে অর্থ একটা ভূমিকা পালন করেছে। যেটা সাধারণত বিজেপিতে কখনও হয় না। দলীয় পদ পাওয়ার ব্যাপারেও ভূমিকা পালন করেছে। এই নগরীর নটীদের টিকিট দেওয়া হয়েছিল কেন? এরা তো বিজেপির মন্ত্র বা আদর্শে দীক্ষিত নয়। এদের সঙ্গে বিজেপির কোনও দিন কোনও সম্পর্ক ছিল না। এরা রাজনীতিরও লোক নয়। আজকে বিজেপির শোচনীয় পরিণতি এই সবের জন্যই। লজ্জা হয়।”

এরই জবাবে দিলীপ ঘোষও বলেছিলেন, “কত দিন আর লজ্জা পাবেন? দল ছেড়ে দিন। যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি। দল যাঁদের সব থেকে বেশি দিয়েছে। তাঁরাই দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য এটা।” এরপর বিতর্ক, বাকযুদ্ধ আরও জোরাল হয়। এরই মধ্যেই নিজেকে ‘হুইসেলব্লোয়ার’ বলে তথাগত রায় যে আর কী কী বলতে চলেছেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ, হুইসেলব্লোয়ার সেই মানুষটি হন, যাঁর কাছে সংগঠন কিংবা সংস্থার ভিতরে চলা বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সমস্ত তথ্য-পরিসংখ্যান থাকে।

আরও পড়ুন: Swastha Sathi: স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বড় ঘোষণা! বরাদ্দ টাকা শেষ হয়ে গেলে কী হবে, জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা