Dhupguri: থানার অদূরেই রাস্তা আটকে চাঁদা তুলছেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর! বিতর্ক তুঙ্গে
Jalpaiguri: কাঠগড়ায় ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা দে সরকার। অভিযোগ, সন্ধ্যা হতেই পাড়ার মহিলাদের নিয়ে রীতিমতো চেয়ার পেতে চাঁদা তুলছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি: রাস্তার মাঝে রীতিমতো চেয়ার লাগিয়ে অবরোধ। চাঁদা তুলছে তণমূল। নেতৃত্বে খোদ কাউন্সিলরই! তাও আবার থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি (Dhupguri) শহরে চাঁদার জুলুমবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে।
ধুপগুড়ি শহরে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। ধূপগুড়ি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রাস্তার ওপর চেয়ার লাগিয়ে অবরোধ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। চাঁদা তুলছেন শাসক দলের কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনায় রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
পূজার আর কয়েক দিন বাকি, পূজা উদ্যোক্তাদের মধ্যে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। করোনা আবহে এবার সেরকম বড়ো করে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে না ধূপগুড়িতে। তবে এর মধ্যেই ধূপগুড়ি থানার অদূরে রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
কাঠগড়ায় ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজাতা দে সরকার। অভিযোগ, সন্ধ্যা হতেই পাড়ার মহিলাদের নিয়ে রীতিমতো চেয়ার পেতে চাঁদা তুলছেন তিনি। যেখানে প্রায় প্রতিটি পূজা কমিটিকে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে থানার পাশেই শাসকদলের একজন মহিলা কাউন্সিলর রাস্তা আটকে চাঁদা তুলছেন। এমনই অভিযোগ করছেন এলাকার বাসিন্দারাই।
রাস্তা আটকে এইভাবে বসে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে যাচ্ছে বলে অনেকের দাবি। রাস্তা আটকে চাঁদা তোলার বিষয়টা নতুন নয়। গ্রামের ছোটো পুজোগুলির উদ্যোক্তরা অনেক সময়েই রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা কোনও গাড়ি চালক ও বাইক আরোহীর কাছ থেকে চাঁদা নেন। সেক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশ গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে তাঁদের হটিয়ে দেয়।
অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের আটক কিংবা গ্রেফতারও করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, থানার পাশে যখন রাস্তা আটকে চাঁদা তোলা হচ্ছে, তখন কেন প্রশাসন নিশ্চুপ। তবে কি শাসকদলের কাউন্সিলর বলেই দেখেও না দেখার ভান করছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর বলেন, “রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে। তবুও লোকে ভালোবেসে ১০টাকা, ২০ টাকা যে যেমন পারছেন দিচ্ছেন। পুলিশের অনুমতি নিয়েই রাস্তায় বসেছি আমরা।”
ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “এবার ৪১ টি পুজো হচ্ছে। প্রত্যেক কমিটিই যাতে টাকা পায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে জানিয়েছি। ধূপগুড়ি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুজোও টাকা পেয়েছিল।” তবে রাস্তা আটকে টাকা তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও খবর আসেনি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করছি।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটা তো জুলুমবাজি হচ্ছে। কী আর বলা যায়। রাজ্য সরকার পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিচ্ছে। তারপরও সাধারণ মানুষের থেকে এইভাবে টাকা তোলার কোনও মানে আছে কী! ফূর্তি করার জন্যই টাকা তোলা হয়। সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি এই সময় এমনিতেই খারাপ। তারপর টাকা তোলার জন্য চাপ দেওয়া হলে আর কী বলার আছে।”