Dhupguri: চা বিক্রি করে আয় নেই বাবার, নতুন জামা দেবে কী করে! পথের ধারে শাক বেচছে ছোট্ট ছেলে
North Bengal: ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় তরফদারের দুই ছেলে। বড়জন সন্দীপ, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছোটটার ক্লাস ফোর।
ধূপগুড়ি: পুজোর সময় সকলেই চায় একটা নতুন পোশাক। যেমনই হোক, তবু নতুন হোক! কিন্তু সকলের যে সে সামর্থ্য নেই। প্রায় দু’ বছর ধরে চলতে থাকা করোনার দাপটে তো মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থনীতি। ধূপগুড়ির রাজদীপ তরফদার। বাবার ছোট্ট দোকান ফুটপাতে। চা বিক্রি করেন। তাতেই সংসার চলে। কিন্তু এখন তো দোকানপাটই ঠিকমতো খোলে না। বাবার আয়ও তলানিতে। নতুন জামা কিনবে বলে রাস্তার ধারে শাক বেচছে একরত্তি ছেলে।
ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় তরফদারের দুই ছেলে। বড়জন সন্দীপ, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছোটটার ক্লাস ফোর। সঞ্জয়বাবু ফুটপাথে চা বিক্রি করে সংসার চালান। দুই সন্তান, বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। সেখানে ছেলেদের নতুন জামা কিনে দেওয়া তো অকল্পনীয়। বড় ছেলে সন্দীপ বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করে সাহায্য করে। আর রাজদীপ সেই দোকানের সামনেই সবজি বিক্রি করতে বসেছে।
ছোট্ট রাজদীপ জানাল, “এখনও বাবা নতুন জামা কিনে দিতে পারেনি। এদিকে স্কুলও বন্ধ। না হলে স্কুল থেকে একটা জামা পাওয়া যায়। গত বছর নতুন পোশাক দিয়েছিল স্কুল থেকে। স্কুল বন্ধ তাই বাবার দোকানের সামনেই শাক বিক্রি করছি। দাদাও বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে কাজ করছে। আসলে এখন বাবারও একটু কষ্ট আছে। তেমন তো বিক্রি নেই।”
রাজদীপের দিদা রেখা তরফদার বলেন, “স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে ছেলেরা। পড়ার কোনও চাপ নেই, সে কারণে বাড়িতে পড়তেও বসতে চায় না। ওর বাবা-দাদা ফুটপাতে চায়ের দোকান করে। আমিও বাড়িতে থাকি না। তাই রাজদীপ বাড়িতে একা থাকতে চায় না। ও বাজারে শাক বিক্রি করতে বসেছে। কী করব, কিছু করার উপায় নেই। নতুন পোশাকও এখনও কিনে দিতে পারিনি আমরা। ওই বলল শাক বিক্রি করবে। শাকপাতা নিয়ে বসে বাবার দোকানের পাশেই।”
আরও পড়ুন: Durgapur: বাজারে সোনার চেন, আংটি পরে এসেছেন কেন? বলেই ‘পুলিশ’ যা ঘটালেন! কপালে হাত ব্যক্তির