জলপাইগুড়ি: পুরভোটের ফল প্রকাশের পরই পদ্মশিবিরে ভাঙন রাজগঞ্জে। যে সমস্ত তৃণমূল কর্মী ভোটের আগে বিজেপিতে গিয়েছিল, তাঁরাই এবার ফিরতে শুরু করেছেন ঘরে। রাজগঞ্জের মান্তাদারি অঞ্চলে বিজেপিতে চলে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের শনিবার দলে ফেরান তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার বিকেলে রাজগঞ্জের মান্তাদারিতে খগেশ্বর রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন প্রায় ২০০ পরিবার। মান্তাদারি গেট বাজার এলাকায় একটি সভায় এই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। খগেশ্বর রায় দলে ফিরে আসা কর্মী, সমর্থকদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন। ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন-সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।
খগেশ্বর রায় বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি যা করেছে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেও একই কাজ করতে দেখা গিয়েছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ওদের দলে টেনেছে। আসলে বিজেপি ভেবেছিল ওরাই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা গিয়েছে মানুষ কার সঙ্গে রয়েছে। তৃণমূলের বিপুল ভোটে জয় সে ছবিই তুলে ধরেছে।
তৃণমূল বিধায়কের কথায়, শুধু একুশের ভোটই নয়, এরপর উপনির্বাচন থেকে কলকাতা-সহ পাঁচ পুরনিগমের ভোট এবং ১০৮টি পুরসভার ভোট সবেতেই রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের রমরমা। গত বুধবার পুরভোটের ফল প্রকাশের পর তো বিজেপি উবে গিয়েছে। এরপরই অনেকে উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে চেয়ে যোগাযোগ করেন। তাঁদের দলে ফেরানো হয়েছে।
খগেশ্বর রায়ের বক্তব্য, “একুশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক পায়ে খেলে ২১৩ জন বিধায়ক নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলার তিনটি পুরসভা, নবগঠিত ময়নাগুড়ি পুরসভার ভোট, মাল পুরসভার ভোট, জলপাইগুড়ি পুরসভার ভোট সর্বত্রই তৃণমূলের জয়জয়কার। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের হাত শক্ত করবেন বলেই পাঁচটি সংসদ এলাকা থেকে লোকজন এসেছেন। আমি তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই।”
যদিও এ বিষয়ে বিজেপি কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি নকুল দাস বলেন, “কিছু মানুষকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূল যোগদান করিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু বিজেপির যারা প্রকৃত কর্মী সমর্থক তারা কেউ বিজেপি ছেড়ে যায়নি। আর পুরভোটে কী হয়েছে তা তো সকলেই জানে। লাগামহীন সন্ত্রাস আর ছাপ্পা ভোট দিয়ে এরা পুরসভা দখল করল। প্রকৃত ভোট হলে তৃণমূল বেশিরভাগ পুরসভায় ক্ষমতায় আসতে পারত না।”
আরও পড়ুন: Road Accident: জানলা দিয়ে ঝুলছে কন্যাযাত্রীর হাত, গাড়ির ভিতর থেকে চিল চিৎকার… ভয়াবহ দৃশ্য