জলপাইগুড়ি: কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ির বর্তমান সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়ের পুনরায় টিকিটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যা নিয়ে চর্চাও হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এরইমধ্যে এবার চর্চায় সৌমেন রায়। সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ফিরে এসেছেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। তিনি নাকি জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চলেছেন। জল্পনা ছড়াতেই সৌমেন রায়কে নিয়ে তীব্র অসন্তোষ পদ্ম শিবিরের অন্দরে।
রাজনৈতিক মহলে সৌমেন রায়ের প্রার্থী হওয়া নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি। দল-বদলুদের জলপাইগুড়ি জেলায় ঠাঁই দেবে না বিজেপি। এ ভাষাতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী। তিনি বলেন, সৌমেন রায়কে আমি চিনি না। ২১ সালে যখন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলের অত্যাচারে ঘরছাড়া হলেন সেই সময় উনি দলবদল করে তৃণমূলে চলে গেলেন। এখন বিজেপির সুদিন আসছে। এখন উনি বিজেপিতে চলে এলেন। এমন লোকের জলপাইগুড়িতে ঠাঁই নেই।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির জন্য টার্গেটও ঠিক করে দিয়েছে পদ্ম শিবিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ। প্রচারে ঝড় তুলতে ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সভা করেছেন হুগলির আরামবাগে। এদিন করছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। চলতি মাসের ৯ বা ১০ তারিখে মোদীর সভা হতে পারে জলপাইগুড়িতে। এখন থেকেই জেলার পদ্ম শিবিরের অন্দরে সাজ সাজ রব। প্রসঙ্গত, শেষ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ গিয়েছিল পদ্ম খাতায়। যদিও পরের বিধানসভা, পঞ্চায়েতে তেমন ভাল ফল করতে পারেনি সুকান্ত-শুভেন্দুরা। এখন দেখার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁরা কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।