Jalpaiguri: নবান্নের থেকে ভরসন্ধ্যায় গেল ফোন, তৃণমূলের দাপুটে নেতার ছেলেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ
Jalpaiguri: মালিকের তরফে নবান্নে অভিযোগ করা হলে সেখান থেকে পুলিশ সুপারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর রাহুলকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ ৫ দিনের আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: নবান্নের নির্দেশ। সরাসরি নবান্নের থেকেই গেল ফোন। তোলাবাজির অভিযোগে তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অস্বস্তিতে শাসক শিবির। তৃণমূল সুত্রে খবর, রাজগঞ্জ ব্লকের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি হলেন মহম্মদ সোলেমান। তাঁর ছেলে মহম্মদ রাহুল। তিনি রাজগঞ্জ টোল প্লাজার কর্মী।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার টোল গেট দিয়ে একটি শূকর বোঝাই লরি যাচ্ছিল। অভিযোগ, ওইসময় লরিটিকে আটকে দিয়ে মোটা টাকা দাবি করেন ওই তৃণমূল নেতার ছেলে। এরপর টাকা না দিতে পেরে ওই লরি চালক তাঁর মালিককে জানান। মালিকের তরফে নবান্নে অভিযোগ করা হলে সেখান থেকে পুলিশ সুপারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর রাহুলকে গ্রেফতার করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ ৫ দিনের আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি তপন দে বলেন, “তবে আমি শুনেছি নবান্ন থেকেই ফোন করে খবর দেওয়া হয়েছে। রাজগঞ্জ থানায় ফোন করে জানিয়েছে। সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে জানানো হয়, ব্লকের সভাপতির ছেলে ধাবা করেন। তিনি নাকি তোলা তুলছিলেন। টোল প্লাজার ম্যানেজারের নির্দেশেই নাকি ধাওয়া করেছিল, সেটাই শুনেছিলাম। পুলিশের তরফ থেকে শুনি, বাড়তি টাকা আদায়ের চেষ্টা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দলটা সবাই স্বচ্ছভাবে করেন। বেনিয়ম কখনই মেনে নেওয়া হবে না।”
বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য নিতাই মণ্ডল বলেন, “টোলে যে সব ছেলেরা কাজ করছেন, প্রত্যেকেই তৃণমূলের লোক। তাঁরা এই ধরনের কাজ করছেন। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই লোক উপযুক্ত জায়গায় অভিযোগ করতে পেরেছেন, তাই গ্রেফতার হয়েছেন। লোকাল থানার ওসি-আইসি-রা পদক্ষেপ করতে পারেন না, তাই ওরা বেড়েই চলেছে দিন দিন।”