Jalpaiguri: রাতভর গর্জন, ভোর রাতে চা বাগানের মাঝে পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল সে
Jalpaiguri: রবিবার সকালবেলা শ্রমিকরা বাগানে কাজে যোগ দিতে গিয়ে হঠাৎ চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তাঁরা খাঁচার দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখেন, বনদফতরের ফাঁদে ধরা পড়েছে চিতাবাঘটি। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাগান এলাকায়। উৎসুক মানুষের ঢল নামে চা বাগানের সেই অংশে।

জলপাইগুড়ি: গয়েরকাটা চা বাগানে ফের ধরা পড়ল চিতাবাঘ। স্বস্তির নিঃশ্বাস শ্রমিক মহলে। আবারও চিতাবাঘ ধরা পড়ল ডুয়ার্সের চা বাগানে। রবিবার সকালে বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা চা বাগানের আংড়াভাসা সেকশনে বনদফতরের পাতা খাঁচায় ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ধরা পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ।
রবিবার সকালবেলা শ্রমিকরা বাগানে কাজে যোগ দিতে গিয়ে হঠাৎ চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তাঁরা খাঁচার দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখেন, বনদফতরের ফাঁদে ধরা পড়েছে চিতাবাঘটি। মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাগান এলাকায়। উৎসুক মানুষের ঢল নামে চা বাগানের সেই অংশে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে এই গয়েরকাটা চা বাগানেই চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হয়েছিলেন চারজন শ্রমিক। সেই ঘটনার পর থেকেই শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের তরফে এলাকায় একটি খাঁচা পেতে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে সেই ফাঁদেই ধরা পড়ল চিতাবাঘটি।
বন দপ্তরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বাঘটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের পর গভীর জঙ্গলে ছাড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
চিতাবাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। তাঁদের কথায়, “এই ক’দিন দারুণ আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম আমরা । এখন অন্তত নিশ্চিন্তে কাজে করতে পারব।”

