Jalpaiguri: বাড়ির উঠোন থেকে তুলে নিয়ে ৩ বছরের শিশুকে খুবলে খেল চিতাবাঘ, জন্তুকে ধরতে দেহ কোলে দিয়ে রেঞ্জারকে একা চা বাগানের মাঝে পাঠালেন গ্রামবাসীরা!
Jalpaiguri: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতর ও পুলিশ। তবে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসন লেপচা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

জলপাইগুড়ি: বাড়ির উঠোন থেকে তিন বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গেল চিতা বাঘ।, উত্তেজনা বানারহাটের কলাবাড়িতে। জানা গিয়েছে, শিশুর নাম আয়ুব কালান্দী। চা বাগানের মাঝখান থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ। চিতা বাঘ খুঁজতে শিশুর মৃতদেহ বিন্নাগুড়ি রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথের কোলে দিয়ে একা পাঠিয়ে দেওয়া হয় চা বাগানের মাঝখানে। যেখানে রয়েছে সেই হিংস্র চিতাবাঘ। আটকে রাখা থাকে অন্যান্য বনকর্মীদের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ির উঠোন থেকে চিতাবাঘ শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যদের দাবি। কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতর ও পুলিশ। তবে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসন লেপচা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
বন দফতর জানিয়েছে, গত দু’মাসে কলাবাড়ি এলাকা থেকে তিনটি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে, এখনও এলাকায় খাঁচা পাতা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনাঞ্চল সংলগ্ন ঘন বসতিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই, বারবার ঘটছে বন্যপ্রাণীর হামলা।
জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের জেলা সহকারি বন আধিকারিক রাজীব দে বলেন, “রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে, ৩ বছর বয়সী একটি শিশুর আমাকে হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আটকে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দু’মাসে তিনটি চিতাবাঘ এই বাগান থেকে ধরা পড়েছে। এখনও খাঁচা পাতা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। ”
১৫ জানুয়ারি ২০১৯ সালে ডুয়ার্সের গ্যারগেন্ডা চা বাগানে চিতাবাঘ তুলে নিয়ে যায় এক ছয় বছরের শিশুকে।৫ জুলাই ২০২৪-এ তোতাপাড়া চা বাগানে একইভাবে চিতাবাঘের আক্রমণে নিহত হয় আরও এক শিশু।
