জলপাইগুড়ি: ফের ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বানারহাট ব্লকের ডায়না চা বাগানে। বনদফতর সূত্রে খবর, বুধবার সকাল বেলা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় প্রথম তাঁদের নজরে আসে, একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তাঁরা বাগান কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। চিতা বাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বনদফতর সূত্রে খবর, ডায়না চা-বাগানের ৩ নম্বর সেকশনে চিতাবাঘের মৃতদেহটি পড়েছিল। তবে কীভাবে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদের অনুমান, বিষক্রিয়ায় চিতাবাঘের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত না করা পর্যন্ত মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে না। ইতিমধ্যেই চিতাবাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায়। সেখানেই ময়নাতদন্তের পর সৎকার করা হবে চিতাবাঘ টির।
গত সপ্তাহে ডুয়ার্সের তোতাপাড়া থেকে জালাপাড়াগামী রাস্তা থেকে এক চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গাড়ির ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘটির। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডুয়ার্সে জলঢাকা নদী সংলগ্ন জঙ্গলে একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বন বিভাগের কর্মীরা টহলদারি চালানোর সময় প্রাপ্তবয়স্ক ওই চিতাবাঘের দেহ জঙ্গলের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনায় পাচারকারীদের জড়িত না থাকার অনুমানই করছে বন বিভাগ। প্রাথমিকভাবে হাতির হামলায় ওই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছিলেন বনদফতরের কর্মীরা।
বনকর্মীরা জানতে পেরেছিলেন, চিতাবাঘটির বাচ্চা ছিল। সেই সময় আচমকা হাতির দল সামনে চলে আসায় বাচ্চার প্রাণহাণির আশঙ্কা চিতাবাঘ হাতির সঙ্গে লড়াই করে। চিতাবাঘটিকে হাতি শুঁড়ে তুলে আছড়ে ফেলে দিতে পারে। তাতেই মৃত্যু হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছিলেন বনকর্মীরা।