জলপাইগুড়ি: এর আগে সৌজন্যের প্রমাণ রেখেছেন বিজেপি সাংসদ। এবার সেই একই সৌজন্যের উদাহরণ তৈরি করলেন তৃণমূল নেতাও। প্রচারে বেরিয়ে বয়সে বড় সাংসদের সঙ্গে দেখা হতেই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম! পুরভোটের আবহে দলীয় আকচা আকচির মধ্যেও একাধিকবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখাল জলপাইগুড়ি পুর এলাকা। আগামী রবিবার ১০৮টি পুরসভায় ভোট। তার আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে ঝড় তুলেছে সব দলই। ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়ে পথে পথে ঘুরেছে সমস্ত দলের কর্মী, সমর্থকরাই। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এদিন দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামেন বিজেপি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়। এরইমধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী দুর্গা ঝাঁকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই প্রচার করছিলেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সরিতা প্রসাদ শা। ছিলেন তাঁর স্বামী তথা বিদায়ী পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য নিপু শাও।
সাংসদকে দেখেই পায়ে ছুঁয়ে প্রণাম করেন তৃণমূল নেতা নিপু শা। সাংসদও হাত জোর করে সেই সম্মান গ্রহণ করেন। বেশ কিছুক্ষণ সৌজন্য বিনিময়ও করেন তাঁরা। এরপরই ফের যে যাঁর মতো প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু করেন। বিজেপি প্রার্থী দিনবাজারের দিকে এগিয়ে যান। নিপু শা বলেন, “গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী সবাই ভোট প্রচার করবে, সকলেই ভোট চাইবে। ভোট মানে সৌজন্যও থাকবে। মানুষ ভোট দেন। তাতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। তা বলে সৌজন্য হারিয়ে যাবে? আমার সঙ্গে দেখা হল বিজেপি প্রার্থী, বিজেপির সাংসদের। আমি কথা বললাম। জলপাইগুড়ির এটাই সৌজন্য। সকলে মিলেমিশে প্রচার করি। ভোট তো আসবে যাবে। মনুষ্যত্বই থাকবে।”
সাংসদ জয়ন্ত রায়ের কথায়, “কারও সঙ্গে কারও কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমরা এক একটা দল করি ঠিকই। তার জন্য নীতিগত বিরোধিতা থাকে। ব্যক্তিগত শত্রুতা কারও সঙ্গেই কারও নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গাটা আলাদা। আমরাও অনেককে পছন্দ করি। আবার তারাও আমাদের পছন্দ করে। সেই সৌজন্য আদানপ্রদানই হল।”
এর আগে গত চলতি সপ্তাহেই জলপাইগুড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মনোজ শার হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। দিনবাজার এলাকায় প্রচার করার সময় রাস্তায় তৃণমূলের একটি পতাকা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। বিজেপি সাংসদ সেই পতাকা তুলে নিয়ে যথাস্থানে লাগিয়েও দেন। এরপর ফের শুরু হয় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার।