জলপাইগুড়ি: প্রায়শই বলা হয় রাজনীতির সঙ্গে সৌজন্যের সম্পর্ক যোজন দূর। কিন্তু কখনও কখনও ব্যতীক্রমও ঘটে। যেমনটা দেখা গেল বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। রাস্তায় দেখেন তৃণমূলের পতাকা পড়ে রয়েছে। সেই পতাকা তুলে যথাস্থানে রেখে দিলেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। রাজনৈতিক সৌজন্যের এক অনন্য ছবি ধরা পড়ল জলপাইগুড়িতে। দারুণ খুশি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীও। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বললেন, এটাই জলপাইগুড়ি। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মনোজ শার হয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। দিনবাজার এলাকায় প্রচার করার সময় রাস্তায় তৃণমূলের একটি পতাকা পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। বিজেপি সাংসদ সেই পতাকা তুলে নিয়ে যথাস্থানে লাগিয়েও দেন। এরপর ফের শুরু হয় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার।
সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “পতাকাটা রাস্তায় পড়েছিল। দেখতে খারাপ লাগছিল। কারও পায়েও লেগে যেতে পারত। তাই তুলে রাখলাম। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির নীতি নিয়ে লড়াই। ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই।” ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন সন্দীপ মাহাতো বলেন, “খুব ভাল কাজ করেছেন সাংসদ মহাশয়। আসলে এটাই রাজনৈতিক সৌজন্যতা। জলপাইগুড়ি শহরের কালচার।”
জয়ন্ত রায়ের কথায়, “একটা দলের পতাকা মাটিতে পড়ে আছে। দেখতে খারাপ লাগছে। এটা তো ঠিক না। কেউ পা দিয়ে মাড়িয়েও যেতে পারে। আমাদের নীতিতে লড়াই। কাজের ক্ষেত্রে লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু মনুষ্যত্বের ক্ষেত্রে কোনও লড়াইয়ের জায়গা নেই। আমরা সকলে এক দেশের মানুষ। আমরা সবাই ভারতবাসী। ওরাও জলপাইগুড়ির জন্য ভাবছে। আমরাও জলপাইগুড়ির কথা ভাবছি।” অন্যদিকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপ মাহাতো বলেন, “এটাই জলপাইগুড়ির সৌজন্য। এটাই জলপাইগুড়ির রাজনীতির পরিভাষা। খুবই ভাল কাজ করেছেন উনি।”