জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ফের সদ্যোজাত মৃত্যু (Child Death)। ফের ছড়াল উদ্বেগ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রিম্পা পারভিন নামে ধূপগুড়ির এক প্রসূতি বাড়িতেই শিশু পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন। জন্মের কিছুক্ষণ পর তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাকে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ‘সিক এন্ড নিওনেন্টাল কেয়ার ইউনিটে’ ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, জলপাইগুড়িতে শিশুদের জ্বর কমার কোনও লক্ষণ নেই। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি,কাশি,পেট ব্যথা ইত্যাদি বহুবিধ উপসর্গ নিয়ে আজও জলপাইগুড়ি হাসপাতাল আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে ভিড় ছিল রোগীদের। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষরা শিশুদের নিয়ে এসে ভিড় জমাতে থাকেন।
একের পর এক শিশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফের এক শিশুর শরীরে মেলে করোনা সংক্রমণ। এই নিয়ে গত ৮ দিনে ৪ শিশু নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত ৩ শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও প্রশাসনের তরফে কতটা পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হয় হাসপাতাল সুপারকে।জেলার হাসপাতালের পরিস্থিতি কীরকম?কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে?তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি। জেলায় শিশুদের মধ্যে এখোনও জ্বরের প্রকোপ কমেনি।
গত শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট শিশু ভর্তি হয়েছে ৯৮ জন। এরমধ্যে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৩৩। স্থানান্তরিত হয়েছে ৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১৪ জন।
সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে, কেবল সদর হাসপাতালেই রোগীর চাপ বেড়েছে এমন নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিরও প্রায় একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে অনেক হাসপাতাল থেকেই রোগীকে রেফার করা হচ্ছে সদর হাসপাতালে। ফলে বাড়ছে চাপ। হাসপাতালের শিশু বিভাগের একটি বেডে একসঙ্গে ৩জন শিশুর চিকিত্সা চালানো হচ্ছে। জ্বরে প্রায় বেহুঁশ হতে বসা শিশুদের এইভাবেই চলছে চিকিত্সা।ক্রমে জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৪০ টি বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।