জলপাইগুড়ি: হোমে এক আবাসিক কিশোরের আস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের। ময়ানাতদন্তের রিপোর্টে অসঙ্গতি লক্ষ করায় সিবিআই (CBI) নির্দেশ আদালতের। মৃতের বয়স নাকি ৩৪! ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ। যা দেখে সন্দেহ হয় বিচারপতিদের। এরপরই এই মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। কবর থেকে দেহ তুলে পুনরায় ময়না তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থাকে।
গত ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি জুভেনাইল কোরক হোমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গলায় ফাঁস লাগলো অবস্থায় লাবু ইসলাম নামে বছর সতেরোর এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তেজনা সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছন পুলিশের পদস্থ অধিকারিকরা। পরে পুলিশ পাহারায় দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হয় ময়নাতদন্ত।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার টাপুর হাট এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরের নাম লাবু ইসলাম। এক বছর আগে মাদক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে জলপাইগুড়ি কোরক হোমের ( C C L) চাইল্ড কনফ্লিক্ট উইথ ল বিভাগের আবাসিক হয়ে ছিলেন। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার।
মৃতের পরিবারের দাবি, লাবুর মৃত্যুর কোনও খবর তাঁদের দেওয়া হয়নি। টেলিফোনে অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়েছিল। এর পরে হোমে আসার পরেও তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হোমের গেটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পরেও কিছু জানান পর্যন্ত হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।