Minor Harassment: ‘৫০ হাজার টাকা ফিক্সড করে রাখলে ভবিষ্যতে মেয়ের বিয়েতে কাজে লাগবে’, ধর্ষণের পর নাবালিকার জন্য বসল সালিশি সভা
Dhupguri: নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করছিলেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় পরিবারের লোকজন বলেছিল ছাগল নিয়ে বাড়িতে ফিরতে তাকে।

ধূপগুড়ি: কসবার একটি ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় যখন উত্তাল রাজ্য। ঠিক সেই সময় ধূপগুড়িতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নির্যাতিতা নাবালিকা স্থানীয় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নিকট আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করছিলেন বছর এগারোর নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। সেই সময় পরিবারের লোকজন বলেছিল ছাগল নিয়ে বাড়িতে ফিরতে তাকে। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর শাসক দলের কয়েকজন নেতা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিষয়টি সালিশির মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বৈঠকের একটি ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা।
সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে, টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে, তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এক বিজেপি নেতা এই বিষয়টি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন। ভাইরাল ভিডিয়োয় বলতে শোনা যাচ্ছে, “৫০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা করা যায় কি না…মেয়ের নামে ফিক্সড করলে পরে বিয়ে সময় কাজে লাগবে।”
শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবার ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করে। বারঘরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের আবু তাহের বলেন, “একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। আমি শুনেছি যে নাবালিকা নির্যাতন হয়েছে। তবে সালিশি সভায় যদি টাকা দিয়ে মটানোর ঘটনা হয় তাহলে তা ঠিক নয়।” নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য বলেন, “মেয়েকে নিয়ে ওর মা দাদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই সময় সালিশি সভা বসানো হয়। পরে মেয়ের মা গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।” ধূপগুড়ির বিজেপি কনভেনার চন্দন দত্ত বলেন, “এই ঘটনা নিন্দনীয় ঘটনা। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আর যে ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে যে বিজেপি নেতা বলছেন টাকার বিনিময়ে মিটিয়ে নিতে সেইটাও বিকৃত করা হয়েছে।”
