ধূপগুড়ি: পরীক্ষা চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে সাপের কামড়। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাসের মধ্যেই সাপ ছোবল দেয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। স্কুল থেকে খবর দেওয়া হয় বাড়িতেও। পড়ি কী মরি করে হাসপাতালে এসে হাজির হন ছাত্রীর বাড়ির লোকেরা।
ধূপগুড়ি গার্লসের ওই ছাত্রীর নাম সোহা আখতার। পরের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। সোহার মা জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। মেয়ের পরীক্ষা চলছিল তখন। শ্রেণিকক্ষেই সাপ কামড় দেয়। অভিযোগ, স্কুলচত্বরে জল জমে রয়েছে। সঙ্গে চারপাশে জঙ্গল। বর্ষায় আরও খারাপ হয়েছে অবস্থা। এতেই বিপদ বাড়ছে।
শিক্ষিকা সুমনা রায় বলেন, “ভরা বর্ষার কারণে আমাদের স্কুলে নিকাশি ঠিকমতো হচ্ছে না। ড্রেন আটকে যাওয়ায় মাঠ ভরে গিয়েছে। স্কুলের ক্লাসরুমের পাশে জঙ্গল। তা পরিষ্কার করা হলেও আবারও বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণত এ সময় জানালা খুলি না। তবে এখন পরীক্ষা চলছে বলে খুলতে হচ্ছে। ফলে পোকা, সাপের উপদ্রবও হচ্ছে। আমাদেরও আতঙ্ক কাজ করে। পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ মেয়েটা চিৎকার করে উঠল। এরপরই বলল কী একটা কামড়ে দিয়েছে।”
যে ঘরে বসে সোহা পরীক্ষা দিচ্ছিল, সেই ঘরে ছিলেন শিক্ষিকা মাধুরীদেবী। তিনি বলেন, “পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ ক্লাসরুমে কোণের দিকে বসে থাকা দুই ছাত্রী বলে সোহাকে সাপে কামড় দিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি একটা ছোট্ট কেঁচোর মতো সাপ। কী সাপ আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা সাপের ভিডিয়ো করেছি। তাতে চিকিৎসকদের বলতে সুবিধা হবে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।” জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে চান ওই ছাত্রীকে।