Jalpaiguri: প্রবল ঠান্ডায় জমছে হাত-পা, ঝিমুনি কাটাতে লরি চালকদের গরম চা খাওয়াচ্ছে পুলিশ
Jalpaiguri: জাতীয় সড়কের বিভিন্ন এলাকায় লড়ি থামিয়ে চালকদের গরম চা খাওয়াতে দেখা গেল ট্র্যাফিক পুলিশকে। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার ওসি ট্রাফিক বাপ্পা সাহার নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে চলছে চা খাওয়ানোর কাজ। এমনই ছবি দেখা গেল রাজগঞ্জ টোল প্লাজাতে।
জলপাইগুড়ি: বিগত কয়েকদিনে লাগাতার তুষারপাত চলেছে দার্জিলিংয়ে। বরফে ঢেকেছে সান্দাকাফু। পারা নেমেছে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই। সন্ধ্যা হলেই কুয়াশা আর জাঁকিয়ে ঠান্ডা জলপাইগুড়িতে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা হতে না হতেই কুয়াশার চাদরে রাস্তাঘাট ঢাকা পড়তেই সমস্য়ায় পড়ছেন গাড়ি চালকেরা। কমেছে দৃশ্যমানতা। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও হয়েছে প্রবল। তার সঙ্গে প্রবল ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে হাত-পা। শরীরে ধরছে ঝিমুনি। এই ঝিমুনির ফলে অতীতেও একাধিকবার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুও হয়েছে অনেক লরি চালকের। এই পরিস্থিতিতে লড়ি চালকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল জেলা পুলিশকে।
জাতীয় সড়কের বিভিন্ন এলাকায় লড়ি থামিয়ে চালকদের গরম চা খাওয়াতে দেখা গেল ট্র্যাফিক পুলিশকে। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার ওসি ট্রাফিক বাপ্পা সাহার নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে চলছে চা খাওয়ানোর কাজ। এমনই ছবি দেখা গেল রাজগঞ্জ টোল প্লাজাতে। যেখানে প্রবল শীত উপেক্ষা করে লড়ি চালকদের চা খাওয়াচ্ছে ওসি ট্রাফিকের টিম।
সইদুল ইসলাম নামে এক গাড়ি চালক বলছেন, শীতের রাতে গাড়ি চালাতে চালাতে অনেক সময় ঝিমুনি আসে। দূরপাল্লার রাস্তায় মাঝে মাঝে এই ভাবে চা পান করাচ্ছে পুলিশ। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হচ্ছে। পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ওসি ট্রাফিক বাপ্পা সাহা জানিয়েছেন তাঁদের মূল লক্ষ্য শীতের কারণে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা। ড্রাইভাররা যাতে সুস্থ থাকেন, কোনও অঘটন যাতে না হয়, শীতের থেকে কিছুটা রেহাই পেতে তাঁদের হাতে গরম চা তুলে দেওয়া হচ্ছে।