Swasthya Sathi: হার্টের চিকিৎসায় ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড দিতেই কলকাতার হাসপাতাল বলল, ‘আপনি তো মৃত’

Swasthya Sathi: নতুন কার্ড বানাতে গেলে তাঁর কাছ থেকে ৬০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। নতুন কার্ড হাতে দিয়ে বলা হয়, আপনি এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। তারপর যা ঘটল, তাতে মাথায় হাত রোগীর।

Swasthya Sathi: হার্টের চিকিৎসায় 'স্বাস্থ্যসাথী' কার্ড দিতেই কলকাতার হাসপাতাল বলল, 'আপনি তো মৃত'
সৌমিত্র বসাকImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2023 | 1:55 PM

জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরের লক্ষণ মৌলিক সরণির বাসিন্দা সৌমিত্র বসাক। বয়স ৬৭ বছর। সম্প্রতি হার্টের সমস্যা দেখা চিকিৎসকেরা তাঁকে অ্যাঞ্জিগ্রাফি করাতে বলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার পর চিকিৎসা করাতে কলকাতায় যান তিনি। তিনি মনস্থির করেন কলকাতায় গিয়ে অ্যাঞ্জিগ্রাফি করাবেন। কারণ এই পরিষেবা জলপাইগুড়িতে পাওয়া যায় না। ভেবেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডেই চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু বাড়িতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ির স্বাস্থ্য সাথী দফতরে। তাঁদের কথা মতো তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, সেই কপি ফের জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দফতরে জমা দেন। এরপর তাঁকে নতুন কার্ডও দিয়ে দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।

নতুন কার্ড নিয়ে সৌমিত্র বাবু চলে যান কলকাতার বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তিনি তাঁর নতুন কার্ড জমা দেন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁকে ডেকে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁর হাতে একটি জেরক্স কপি ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুযায়ী আপনি মৃত। তাই আপনাকে এই কার্ডের পরিষেবা দিতে পারব না আমরা।’ শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। এরপর তিনি ধার করে অ্যাঞ্জিগ্রাফি করিয়ে বাড়ি ফিরে যান। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ জানাতে দফতরের দ্বারস্থ হন তিনি।

সৌমিত্র বসাক জানান, নতুন কার্ড বানাতে গেলে তাঁর কাছ থেকে ৬০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি। নতুন কার্ড হাতে দিয়ে বলা হয়, আপনি এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। কিন্তু কলকাতায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনুযায়ী তিনি মৃত। এর জেরে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, “আমি বয়স্ক মানুষ। দফতরের গাফিলতির জন্য এই জাতীয় হয়রানির শিকার কেন হতে হবে আমাকে? আমার যে টাকা খরচ হয়েছে তা আমি ফেরত চাই।”

জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দফতরের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁরা সৌমিত্র বাবুর অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে।