জলপাইগুড়ি: ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। তার উপর সেই বাচ্চার আবার আটটি পা। গ্রামে খবর চাউর হতেই ভিড় উপচে পড়লো গৃহস্থের বাড়িতে। খবর পেয়ে আসেন চিকিৎসকরাও। পশু চিকিৎসকরা ওই ছাগলের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রেখেছেন।
জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা কুসুম তন্ত্র। তাঁর বাড়ির ছাগলটি বৃহস্পতিবার ৩ টি সন্তান প্রসব করে। যার মধ্যে তৃতীয় সন্তানটির ৮ টি পা রয়েছে।
অদ্ভুত দর্শন এই ছাগল ছানা জন্মের পরই জলপাইগুড়ি সদর ব্লক অফিসে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে পশুচিকিৎসক ডাক্তার সুকান্ত মন্ডল ছুটে আসেন।
ডাক্তার সুকান্ত মন্ডল বলেন,” এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। কারণ এই জাতীয় সন্তানরা সাধারণত জন্মের পর মারা যায়৷ এই জাতীয় কনজেনিটাল ডিফারমেটি জিনগত তারতম্যের কারণে হয়ে থাকতে পারে।” চিকিৎসক আরও বলেন, “আমি প্রয়োজনীয় অপারেশন করলাম।” তিনি জানিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে হৃদযন্ত্র যেখানে থাকার কথা এই ছাগল ছানাটির ক্ষেত্রে সেটি অন্য জায়গায় রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে ৮ পা-ওয়ালা শাবকটি সুস্থই রয়েছে বলে পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টা তাকে নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বাড়ির মালিক বলেন, “এর আগেই আমাদেরই পোষ্য অন্য ছাগল সন্তান প্রসব করেছে। তবে এই ঘটনার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। আমরা প্রথম খেয়াল করিনি বিষয়টা। কোথাও একটা অমিল পাচ্ছিলাম। পরে দেখলাম এই ছাগলশাবক সত্যিই বাকিদের থেকে আলাদা।” গোটা গ্রামে চাউর হয়েছে ছাগলের তৃতীয় এই সন্তানের কথা। সকাল-রাত্রি এখন তন্ত্র পরিবারে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।