জলপাইগুড়ি: দুবাইয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালতের অনুমতি পেতেই শুক্রবার দুবাইয়ে রওনা দেন তিনি। ১০ জুন পর্যন্ত সেখানে থাকার কথা অভিষেকের। এদিকে তাঁর এই দুবাই যাওয়াকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে কলকাতায় চিকিৎসার বদলে কেন তিনি বিদেশে চিকিৎসা করাতে গেলেন তা নিয়ে একদিকে যেমন খোঁচা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সন্দেহের সুরও শোনা গিয়েছে তাঁর বক্তব্যে। শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি তো ভেবেছিলাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে উনি কলকাতাতেই কোথাও চিকিৎসা করাবেন। দুবাইয়ে যাচ্ছেন। উনিই বলতে পারবেন দুবাইয়ে কেন যাচ্ছেন। তবে কিছুদিন আগে দুবাইয়ে তাঁর এক আত্মীয় গিয়েছিলেন, তিনি আর ফিরে আসেননি। দুবাইয়ে থেকে গিয়েছেন। ওনার (অভিষেক) সঙ্গে আর কে কে যাচ্ছেন জানি না, গেলে তাঁরা যেন ভারবর্ষে ফিরে আসেন।”
একটি পথদুর্ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখের বিশেষ সমস্যা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন টানা চিকিৎসা চলেছিল তাঁর। সূত্রের খবর, এখনও প্রায় প্রায়ই চিকিৎসকদের দেখাতে হয়। এই চোখের চিকিৎসার জন্যই দুবাই যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। তার আগে, ৩ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত তাঁকে যেন না ডাকা হয়, এই মর্মে ইডি-র কাছে আবেদন জানান। সূত্রের খবর, তাঁকে ইডি-র তরফে জানানো হয়, দেশের বাইরে যাওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়েই হাইকোর্টে আর্জি জানান অভিষেক।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, চিকিৎসার জন্য দুবাই যেতে পারবেন সাংসদ। দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে সূত্রের খবর, সেদিন ইডির তরফে এজলাসে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কেন অন্যান্য দেশ থাকতে দুবাই যেতে চাইছেন সাংসদ? গোয়েন্দা আধিকারিকদের সন্দেহ কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন অভিষেক। বিনয় দুবাইয়ে আছে। তবে আদালত মানবিক কারণে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার পরামর্শ দেন।