Covid Restriction: বাড়ছে সংক্রমণ, এবার আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে পুরসভা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 17, 2022 | 10:07 PM

Jalpaiguri: ১৯ জানুয়ারি, ২২ জানুয়ারি, ৩০ জানুয়ারি ও ৩১ জানুয়ারি শহরের সমস্ত বাজার, হাট, শপিং মল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে।

Covid Restriction: বাড়ছে সংক্রমণ, এবার আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটছে পুরসভা
জলপাইগুড়িতে কোভিড মোকাবিলায় বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: চলতি সপ্তাহে দু’দিন, পরের সপ্তাহে আরও দু’দিন। আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হল জলপাইগুড়ি শহরে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে লাগাম পরাতেই এই সিদ্ধান্ত পুরসভার। সোমবার শহরের ব্যবসায়ী সংগঠন, টোটো সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুরকর্তৃপক্ষ। ছিলেন এসডিও। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১৯ জানুয়ারি, ২২ জানুয়ারি, ৩০ জানুয়ারি ও ৩১ জানুয়ারি শহরের সমস্ত বাজার, হাট, শপিং মল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। চলবে না টোটো, রিকশার মতো গণপরিবহণ। একমাত্র সাইকেল, মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে।

সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি পুরসভায় জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে এই বৈঠকে অংশ নেন পুলিশ, ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা। জলপাইগুড়ি পুরসভার কনফারেন্স হলে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত সাত আটদিনের হিসাবে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২০০ পার হয়ে গিয়েছে। রবিবার স্টেশন বাজারে ৫০ জনের র‌্যাপিড টেস্ট করে ১০ জনের পজিটিভ পেয়েছি। মানে ২০ শতাংশ। একজন মারাও গিয়েছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি রবিবার রাত থেকে অসুস্থ ছিলেন। এই মৃত্যু আমাদের ভাবাচ্ছে। তাই আমরা সবরকমভাবে সতর্ক হতে চাই।”

ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি মলয় সাহা বলেন, “এটা শুধু জলপাইগুড়িতে হচ্ছে এমন তো নয়। আলিপুরদুয়ার জেলাতেও চালু হয়ে গিয়েছে। আমাদের জলপাইগুড়িতে যত ব্লক এলাকা, হাট আছে সপ্তাহে দু’দিন করে বন্ধ হচ্ছে। কাজের সময়ও কমে গিয়েছে। আমরাও আজ সে সিদ্ধান্ত নিলাম। সমস্ত ব্যবসায়ী সংগঠন মিলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত দোকানই বন্ধ থাকবে। কোনও পাড়ার দোকান থেকে শপিংমল বা মাল্টি স্টোর কিছুই খোলা থাকবে না। গাড়িঘোড়া, টোটো সবই বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি বুঝে ৩১ তারিখের পর কী হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আপাতত সপ্তাহে দু’দিন করে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।”

পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের কোভিড সংক্রমণের হার অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাড়ায় পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন, ব্যবসায়ী সংগঠন, টোটো সংগঠন সকলকে নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভা বৈঠক করেছে। সেই মিটিংয়ে এসডিও উপস্থিত ছিলেন। আমার সতীর্থ ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ মাহাতো উপস্থিত ছিলেন। পুরবোর্ডের অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন। এখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৯ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি শুধুমাত্র ওষুধের দোকান এবং খুব প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া পুরো বাজার বন্ধ থাকবে। মুদির দোকান বন্ধ থাকবে। জামা কাপড়, ডিভিসি রোডে যত বাজার, শপিং মল, রেস্তোরাঁ এই দু’দিন বন্ধ থাকবে।”

সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের সংযোজন, “একইভাবে ৩০ জানুয়ারি ও ৩১ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে। টোটো বন্ধ থাকবে। পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে সবকিছু যেন কঠোরভাবে মানা হয়। আমাদের লক্ষ্য একটাই মানুষকে বাঁচানো। আমাদের অনুরোধ কেউ কোনওরকমভাবে নিয়ম লঙ্ঘণ করবেন না। করলে কিন্তু পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য সংক্রমণের চেনটা ভাঙা। বাইপাস ধরে যদি কেউ জলপাইগুড়ি শহরে আসেন। তাহলে তাঁকে সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেলে শহরে আসতে হবে। বাকি যা পরিবহণ ব্যবস্থা তা বন্ধ থাকবে শহরে।”

আরও পড়ুন: Covid Restriction: আংশিক লকডাউন নিয়ে পুরসভা-জেলা প্রশাসনের দড়ি টানাটানি, ফের বৈঠকে বসছে কর্তৃপক্ষ

আরও পড়ুন: Clash with Cops: ‘ধর্ষকদের গ্রেফতারি চাই’, দাবি উঠতেই খণ্ডযুদ্ধ পুলিশ-জনতার

Next Article