জলপাইগুড়ি : প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গতকালের প্রকাশিত বুলেটিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। কিন্তু বুধবার প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সংক্রমণ। করোনার বাড়বাড়ন্তে আবার পেটে টান পড়ছে বহু মানুষের। কারণ অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু কিছু পেশার মানুষের। আর সেরকমই কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ালো জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই খদ্দেরদের আনাগোনা কমেছে যৌন পল্লীতে। ফলে আয়ের মুখ দেখছেন না যৌন পল্লীর মহিলারা। ঘরে উনোন ধরবে কী দিয়ে তা ঠাহর করতে পারছিলেন না এই করুণ মুখগুলো। এইরকম অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁদের পাশে দাঁড়ালো জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সমাজ কল্যাণ দপ্তর। তাঁদের এক মুঠো আশার আলো তুলে দিলেন তাঁরা। বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ি টিন পাড়া এলাকায় থাকা ব্রাত্যজনীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক তেজস্বী রানা। এদিন এই এলাকার ৩২১ জন মহিলা যৌনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৫ কেজি করে চাল ও ১ কেজি করে ডাল। রীনা রজক (পরিবর্তিত নাম) নামে এক যৌন কর্মী জানান, এখন আবার নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। লোকজন আসছে না তাই। ফলে একপ্রকার খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে আমাদের এখানে। সরকার বিভিন্ন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ায়।
রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্য পেয়ে কৃতজ্ঞতার সুর এক ব্রাত্যজনী মুখে। রাজ্য সরকারের থেকে সাহায্য পেয়ে সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আরেকটি আর্জিও রেখেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “কিন্তু ৫ কেজি চাল আর ১ কেজি ডাল দিয়ে আমাদের খুব বেশি দিন চলবে না। তাই সরকারের কাছে আমাদের আর্জি আমাদের কিছু আর্থিক বা অন্যান্য কিছু দিয়ে সাহায্য করা যায়।” ঘটনায় সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক দীনবন্ধু সাহা বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো আমরা মহিলা যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আজ ৫ কিলো করে চাল ১ কিলো করে ডাল দিলাম। এছাড়াও শিক্ষা,স্বাস্থ্য সহ অন্যান্য কিছু যদি দরকার হয় তবে আমাদের জানাতে বলেছি। সমাজ কল্যাণ দপ্তর সবসময় তাঁদের পাশে আছে।”
আরও পড়ুন : Coaching Centers: সরকারি নিয়ম অমান্য করে চলছিল কোচিং ক্লাস, প্রতিবাদ করতেই শিক্ষকের হয়ে পথে নামল পড়ুয়ারা!