ধূপগুড়ি: অফিস আছে। নেই আধিকারিক। যার কারণে বছরের পর বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ভূমি রাজস্ব পরিদর্শকের অফিস। সমস্যায় সাধারণ জনগণ। ঘটনাস্থল ধূপগুড়ি এবং বানারহাট ব্লকের ঘটনা। সেখানে রাজস্ব পরিদর্শকের অফিসগুলির অবস্থা বেহাল।
অনেক বছর আগে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি এই অফিসগুলি খোলা হয়েছিল। যাতে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পরিষেবা পান। বারংবার যাতে কাজের জন্য বিএলআরও অফিসে ছুটে আসতে না হয়। সেজন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই আড়াই অফিসগুলি খোলা হয়েছিল। তবে বছরের পর বছর অফিসগুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আধিকারিক না আসায় জরাজীর্ণ অবস্থা অফিসগুলির। কোনও কোনও অফিসের তলায় মরচে পর্যন্ত পড়ে গিয়েছে। কোথাও আবার অর্থের বিনিময়ে লোক রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তালা খোলা ও বন্ধ করার কাজ করেন তাঁরা। তবে আধিকারিকরা কিন্তু সেই সমস্ত অফিসে আসেন না বলেই অভিযোগ। তাই এলাকাবাসী চাইছেন দ্রুত এই অফিসগুলিকে সচল করা হোক।
এ দিকে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজের জন্যে ভুটান সীমান্ত চামুর্চি এলাকায় যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। দীর্ঘ প্রায় ৩৯ কিলোমিটার দূরের ধূপগুড়ি বিএলআরও অফিসে ছুটে আসতে হয় তাঁদের। প্রসঙ্গত, বাম আমলে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই রাজস্ব পরিদর্শকের অফিসগুলি খোলা হয়েছিল। যেখানে একজন রাজস্বপরিদর্শক ও চারজন করে কর্মী নিযুক্ত ছিলেন। যা বর্তমান সময়ে একজনও নেই। প্রশ্নের ভূমি রাজস্ব দফতর ও জেলা প্রশাসন। শ্রীবাস চন্দ্র রায়,উপ-প্রধান মাগুরমারী-১ গ্রাম পঞ্চায়েত বলেন, “সদ্য আমি প্রধান হয়েছি। এই নিয়ে দুদিন দেখলাম অফিস খুলেছে। বাকি কয়েকদিন কাজ করি দেখছি।”