করোনার বাড়বাড়ন্ত, ভরা মরসুমেও বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প

May 05, 2021 | 8:11 AM

করোনার (COVID) বাড়বাড়ন্ত। খুলতে না খুলতেই ফের বন্ধের মুখে ডুয়ার্সের পর্যটন (Dooars Tourism), বন্ধ জঙ্গলে প্রবেশ।

করোনার বাড়বাড়ন্ত, ভরা মরসুমেও বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প
ফাইল ছবি

Follow Us

জলপাইগুড়ি: করোনার (COVID) বাড়বাড়ন্ত। খুলতে না খুলতেই ফের বন্ধের মুখে ডুয়ার্সের পর্যটন (Dooars Tourism), বন্ধ জঙ্গলে প্রবেশ। রাজ্য জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্যে ইতিমধ্যে আংশিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এবারে সরকারি নির্দেশ অনুসারে মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল অভয়ারাণ্য, ইকো ট্যুরিজম, ব্যাঘ্র সংরক্ষণ বনাঞ্চল এবং চিড়িয়াখানা। এর জেরে ডুয়ার্সের গরুমারা ও চাপরামরি অভয়ারণ্য পর্যটকদের জন‍্য প্রবেশ বন্ধ হল। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ ছিল হাতি সাফারি। কিন্তু কোভিড বিধি মেনে জঙ্গলে প্রায় আট মাস পর কার সাফারি চালু হয়েছিল। কিন্তু তারই মাঝে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের জঙ্গলে প্রবেশ বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর জঙ্গল বন্ধ হওয়ায় ডুয়ার্সের পর্যটন ব‍্যবসায়ীরা রীতিমতো চিন্তিত। কেননা ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি, মূর্তি, বাতাবাড়ি, ধুপঝোরা, মঙ্গলবাড়ি, মাথাচুলকা, চালসা-সহ বিভিন্ন এলাকার পর্যটন ব‍্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মজিদুল আলম বলেন,” অনিদিষ্টকালের জন্য জঙ্গল বন্ধ হওয়ার ফলে জিপসি চালক, ট্যুরিস্ট গাইডরা কর্মহীন হয়ে পড়লেন। অনেকেই ব্যাংক বা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে জিপসি কিনেছেন।”

রিসর্ট মালিকদের গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র জানান,”এমনিতেই ১৫ জুন থেকে বর্ষার সময় তিন মাসের জন‍্য জঙ্গল বন্ধ হয়ে যায়। তার মধ্যে কোভিডের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন‍্য জঙ্গল বন্ধ হওয়ায় জঙ্গলকেন্দ্রিক ডুয়ার্সের পর্যটন ব‍্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ল।”

আরও পড়ুন:  বিজয়োল্লাসে বাজি ফাটানোয় রাস্তায় ফেলে তৃণমূল কর্মীদের কোপানোর অভিযোগ, উত্তপ্ত বর্ধমান

সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে আবেদন এই পরিস্থিতিতে পর্যটন ব‍্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব‍্যবসায়ীদের জন‍্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” গত বছরের ক্ষতিই এখনও পূরণ হয়নি, তার ওপর ফের জঙ্গল বন্ধ হয়ে ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন ব্যবসায়ীরা।

Next Article