Sukanta Majumdar: ‘আমাদের এখানে প্রচুর অসুর, সব নাশ হবে’, পুজো দেখতে গিয়ে বললেন সুকান্ত
Jalpaiguri News: সুকান্ত বলেন, "আমরা যখন পুজোর আনন্দে ঘুরছি, তখন চাকরির জন্য বহু প্রার্থী রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, এটা রাজ্যের জন্য লজ্জার।"
ধূপগুড়ি: ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ধূপগুড়ির ‘রাম মন্দিরে’ এসে খোঁচা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। ধূপগুড়ির উত্তরায়ণ ক্লাবের পুজোয় এবার অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। শনিবার সেই মণ্ডপই ঘুরে দেখেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সুকান্ত বলেন, “যাঁরা হবু শিক্ষক শিক্ষিকা, যাঁদের যোগ্যতা ছিল, তাঁরা এই সময় রাস্তার পাশে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। মা দুর্গা তাঁদের প্রতি কৃপা করুক। মা দুর্গা তো অসুর নাশ করে, আমাদের এখানে প্রচুর অসুর দেখা যাচ্ছে। সব নাশ হবে।”
গোটা রাজ্য যখন পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা, তখন মহাষষ্ঠীর সকালেও রাস্তার ধারে বসে থেকেছেন চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারী প্রার্থীরা। নিয়োগ যতদিন না হবে, তাঁরা কোনওভাবেই আন্দোলনের পথ থেকে বিচ্যুত হবেন না বলেই জানিয়েছেন। এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুজোর মধ্যেও রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের। মা দুর্গা অসুর নাশ করুক। এটা আমাদের রাজ্যের জন্য লজ্জাজনক। আমরা যখন পুজোর আনন্দে ঘুরছি, তখন চাকরির জন্য বহু চাকরী প্রার্থী যাঁরা হবু শিক্ষক তাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন।”
যদিও শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, “যাঁরা শিক্ষকতার কর্মপ্রাথী হিসাবে আছেন, তাঁদের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী অনুভব করছেন। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে যারা আছেন, তাঁদের শাস্তির পক্ষে আমরা। এসএসসির তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, কোন মডেলে এগোব। ফলে এখন এসএসসি বা সরকারের হাতে কিছু নেই।” উৎসবের দিনগুলো চাকরি প্রার্থীদের পরিবারের সঙ্গে কাটানোর কথাও বলেন তিনি। একইসঙ্গে কুণাল তোপ দাগেন, বিরোধীদের। তাঁর বক্তব্য, বিরোধীরা চাইছে না জট কাটুক। এটা রাজনীতির মঞ্চ নয়। বিরোধীরা মানুষের কাছে যেতে পারে না। তাই এই মঞ্চ ব্যবহার করছে।
ধূপগুড়ির পাশাপাশি মেখলিগঞ্জের মাতৃভূমি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোর উদ্বোধন করেন সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়ও। ঝাড়খণ্ডের একটি মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে পুজো মণ্ডপ।