জলপাইগুড়ি: বৃহস্পতিবার রীতিমতো হতবাক করে দেওয়ার ঘটনা ঘটল কোচবিহারে। একটি শপিং মলের গোডাউন থেকে উদ্ধার হল বহুমূল্যের লাল চন্দন কাঠ। সূত্রের খবর, কয়েক কোটি টাকা দাম হবে তার। বনদফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডুয়ার্সের তেলিপাড়ায় অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে গরুমারা সাউথ রেঞ্জ এবং বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা। তাঁদের জেরা করেই জানতে পারে, কোচবিহারের সেই গোপন গুদামের হদিশ।
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের সহকারী বনাধিকারিক জনমেজয় পালের নেতৃত্বে শপিং মলে অভিযান চলে। সেখানকার গুদাম থেকে দু’ট্রাক ভর্তি রক্ত চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয় বলে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের সাউথ রেঞ্জ এবং বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড সূত্রে খবর। বাজেয়াপ্ত কাঠের মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
জলপাইগুড়ির গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ডিএফও অংশু যাদব জানান, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণি স্কোয়াডের কর্মীরা দুই ব্যক্তিকে লাল চন্দন কাঠ-সহ গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। এরপরই কোচবিহারে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে প্রায় ২ কুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়।
ডুয়ার্স এলাকায় চন্দন কাঠ পাচারের অভিযোগ নতুন হয়। একটা বড় চক্র চলে এই চন্দন কাঠ ঘিরে, অভিযোগ এখানকার বাসিন্দাদের। সময়মতো খবর গেলে বনদফতরের কর্মীরা গোপন অভিযান চালায়। তাতে সাফল্যও আসে। যেমন এদিন এসেছে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা নাগাদ একটি গাড়ি দেখতে পায় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়াড। ত্রিলোকিপ্রসাদ জয়সওয়াল ও নির্মল দাস নামে দু’জনকে ধরা হয়। প্রথমজন আলিপুরদুয়ারের হাসিমারার বাসিন্দা, দ্বিতীয়জনের বাড়ি কোচবিহারের সোনারি কাকরি বাড়ি এলাকায়। এরপরই বনদফতর অভিযান চালায় কোচবিহারে।