Jalpaiguri Hospital: সদ্যোজাত নিয়ে রাস্তায় বসে মায়েরা, বারবার ফোন করেও অমিল ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স

Jalpaiguri: অভিযোগ উঠছে, বিনা পয়সায় পরিষেবা দিতে অনেকেই রাজি হচ্ছেন না। তাই ভোগান্তি।

Jalpaiguri Hospital: সদ্যোজাত নিয়ে রাস্তায় বসে মায়েরা, বারবার ফোন করেও অমিল ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স
কোলে বাচ্চা নিয়ে গাড়ির অপেক্ষায় মা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2022 | 7:37 AM

জলপাইগুড়ি: দু’দিন ধরে অ্যাম্বুল্যান্স সমস্যা জলপাইগুড়ি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব বা মাতৃমা (Jalpaiguri Mother Child Hub)। রবিবারের পর সোমবারও হাসপাতাল চত্বরে বাচ্চা কোলে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মায়েরা। সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রবিবারের পর সোমবারও ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ উঠল। এদিনও কোলের সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় বসে থাকতে হয় মায়েদের। অঞ্জলি রায়, দীপালি রায়, অন্তরা রায়রা অভিযোগ তোলেন, আর্থিক অভাবের কারণে এই ধরনের পরিষেবার উপর নির্ভরশীল হতে হয়। অথচ সেই পরিষেবার এই হাল!

বেলা ১২টায় ছুটি হয়ে গেলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য বাচ্চা কোলে অপেক্ষা করতে হয় মায়েদের। বাচ্চা কোলে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করছিলেন অন্তরা রায়। তিনি বলেন, “২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসে থাকতে হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স নেই। বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে থাকতে হয়। দূরে বাড়ি। অ্যাম্বুল্যান্স না এলে তো ফিরতেও পারব না। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের কাছে টাকা থাকলে আমরা কি আর এই পরিষেবার জন্য এভাবে সদ্যোজাত কোলে রাস্তার ধারে বসে থাকি? বারবার ফোন করছি, একটাই কথা দেরি হবে। এদিকে ১০-১২ জনের বেশি লোক বসে আছে। সকলেই এভাবে বাচ্চা কোলে অপেক্ষায়।”

এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খান টেলিফোনে জানান, স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। ১০২-এর অ্যাম্বুল্যান্স ও নিশ্চয় যান চালকদের সঙ্গে মঙ্গলবার একটি বৈঠকও ডাকা হয়েছে। এর আগে রবিবারও এই ভোগান্তি বহাল ছিল। যেহেতু নিখরচায় এই পরিষেবা প্রসূতিরা পান, তা নিয়ে অভিযোগ উঠছে, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের একাংশ বিনা পয়সায় পরিষেবা দিতে চান না।

রবিবারই বানারহাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায় অভিযোগ তুলেছিলেন, গত বুধবার তাঁর স্ত্রীকে জলপাইগুড়ি মাদার চাইল্ড হাবে ভর্তি করান। মেয়ের জন্মের পর রবিবার বেলা ১২টায় ছুটি হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা হাসপাতালে দাঁড়িয়েছিলেন ১০২ অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষায়। বারবার রোগী সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করলেও অ্যাম্বুল্যান্স পাননি বলে অভিযোগ তোলেন। বিনা পয়সায় এত দূর যাবেন না বলেও চালকরা জানান বলে অভিযোগ। যদিও অ্যাম্বুল্যান্স চালক বাসুদেব বর্মনের বক্তব্য, এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন, “এখানে ছ’টি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। বাইরে গেছে তারা। তাই বিলম্ব হতে পারে।”