Jalpaiguri Hospital: অতিরিক্ত টাকা না দিলে ‘বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা’ দেওয়া সম্ভব নয়, সাফ জানালেন চালক
Jalpaiguri Hospital: এদিকে অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা মেটাতে এদিন বৈঠকে বসেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের ছুটি দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়েও এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
জলপাইগুড়ি: ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) সমস্যা মেটেনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে। এদিনও বিনামূল্যের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পেতে নাকানিচোবানি খেতে হল প্রসূতি মায়েদের। গত দু’দিনের চিত্র অব্যাহত মঙ্গলবার দুপুরেও। এদিন দেখা গেল বিনামূল্যে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পেতে বাচ্চা কোলে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রইলেন প্রসূতি মায়েরা। খবর যায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। তাঁর হস্তক্ষেপেই শেষ পর্যন্ত কয়েকজন রোগী বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পান।
এদিকে অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা মেটাতে এদিন বৈঠকে বসেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের ছুটি দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়েও এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি জট কাটেনি বলে খবর। বুধবার ফের এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ছোটু রায় নামে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, “২০১১ সাল থেকে আমরা কিলোমিটার প্রতি ৮ টাকা করে স্বাস্থ্য দফতর বিল দিচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে যা খরচ, আর বিলে যা টাকা দেওয়া হচ্ছে তাতে আমাদের খরচের টাকা উঠছে না। আমরা কিলোমিটার প্রতি বিল বাড়াবার কথা বারবার বলেছি। কিন্তু আজও সুরাহা হয়নি। তাই যাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা না দিলে আমাদের পক্ষে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়।”
ঘটনায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের উপ অধ্যক্ষ ডাক্তার কল্যান খান বলেন, “রোগীদের সমস্ত রকম পরিষেবা দিতে আমরা বাধ্য। আমরা অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য পরিষেবা নিয়ে বৈঠক করেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স না আসা পর্যন্ত রোগীদের ওয়ার্ডে রেখে দেওয়া হবে। আগামীকাল ফের বৈঠকে বসব আমরা।” অ্যাম্বুলেন্স চালকের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওনাদের বাড়তি ভাড়ার ব্যাপারে আমি কোনও লিখিত প্রস্তাব পাইনি। পেলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”