জলপাইগুড়ি: কাঠবোঝাই ট্রাঙ্কার কে বাজেয়াপ্ত করবে তা নিয়ে চাপানউতর পুলিশ ও বনকর্তাদের মধ্যে। জানা গিয়েছে সোমবার বিকালে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ একটি বাঁশ বোঝাই কন্টেইনারকে আটক করে। এরপর সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় রানিনগর শিল্প তালুকের একটি রাইস মিলে। তল্লাশি চালাতেই তার ভিতর থেকে কাঠ পাওয়া যায়। এরপর প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে আচমকাই টিম নিয়ে চলে আসেন বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত। বাজেয়াপ্তা হওয়া গাড়িটি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের আধিকারিকদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দু’তরফে কথা বলে বিষয়টা মিটিয়ে নেয়। কোতোয়ালি থানার পুলিশই কাঠবোঝাই ট্রাঙ্কারটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ট্রাঙ্কারের খালাসিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে, জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো জানান, “আমাদের স্পেশাল অপারেশন গ্রূপ সোমবার রানিনগরে একটি কাঠ বোঝাই ট্রাঙ্কার আটক করে প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল। গাড়িটি কোথায় যাচ্ছিল, কোন জায়গা থেকে আসছিল, ইত্যাদি জানার চেষ্টা হচ্ছিল। ওই সময় বন দফতরের আধিকারিকরা রানিনগরের ওই ঘটনাস্থলে চলে আসেন। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেন।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশ একটি বিষয় তদন্ত করার সময় কেন বন দফতর সেখানে গেল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।” তবে এ ঘটনায় বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, “যা বলার পুলিশ বলবে”।