জলপাইগুড়ি: চা বাগানে (Tea Gardens) কাজ করার সময় শ্রমিককে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চিতাবাঘের। চাঞ্চল্য ক্রান্তি ব্লকের ধলাবাড়ি চা বাগান চত্বরে। মঙ্গলবার ডুয়ার্সের (Doaars) ক্রান্তি ব্লকের ধলাবাড়ি চা বাগান চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল চিতাবাঘ (Leopard)। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক শ্রমিক। তাঁর নাম হাচিতুণ বেগম। বাগানে পাতা তোলার সময় আচমকায় চিতা বাঘ তাঁকে টেনে চা বাগানের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে খবর। তবে কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান। চিতা বাঘের থাবায় গুরুতর চোট পান তিনি। এলাকার বাসিন্দারাই ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে যান মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী তথা চা বাগানের আর এক শ্রমিক জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও চা বাগানে সবাই কাজ করছিলেন। সেসময় আচমকা হাচিতুণ বেগম নামে এক শ্রমিকের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটা চিতাবাঘ। তৎক্ষণাৎ হাচিতুন বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গোটা দৃশ্য দেখে অন্যান্য শ্রমিকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করলে চিতাবাঘটি ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর বাগানের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাচিতুন বেগমকে ওদলাবারি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন আক্রন্ত ওই শ্রমিক। এদিকে বাঘের ভয়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় শ্রমিকদের মধ্যে। আতঙ্কিত হয়ে চা বাগানে কাজ বন্ধও করে দেন। খবর পৌঁছেছে বন দফতরের কাছে। দ্রুত বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করারও আবেদন জানানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি রীতিমতো থমথমে।
তবে বাঘের আক্রমণ এই প্রথম নয়। কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা বাগান থেকে বাইকে করে নিজের বাড়ি আসার পথে চিতাবাঘের আক্রমণে আহত হন এক যুবক। তড়িঘড়ি ওই যুবককে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসকরা। প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় শরিফুল হক ও সাইরুল ইসলাম বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সাইরুলই ছিলেন চালকের আসনে। পিছনে বসে ছিলেন শরিফুল। তখনই আচমকা চা বাগানের পাশে রাস্তার ধার থেকে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। শরিফুল বাইক থেকে পড়ে গেলে তাঁর পায়ে কামড়ে দেয় বাঘটি।