Elephant Attack: ক্ষেতে জল দিতে গিয়েছিলেন, আচমকা শুঁড়ে তুলে মাটিতে আছাড় হাতির

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 06, 2022 | 11:43 AM

Jhargram: সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা অঞ্চলের কালিকানালা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম লক্ষ্মী দাস। তাঁর বয়স প্রায় পঞ্চান্নর আশেপাশে।

Elephant Attack: ক্ষেতে জল দিতে গিয়েছিলেন, আচমকা শুঁড়ে তুলে মাটিতে আছাড় হাতির
হাতির হামলা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

ঝাড়গ্রাম: কয়েকদিন ছাড়া-ছাড়াই লাগাতার হাতির উৎপাত। কখনও ক্ষেত নষ্ট করেছে। কখনও গ্রামের ঘরবাড়ি। কখনও বা মাঠে থাকা ফসলই শেষ করে দিয়েছে হাতি। এই অবস্থায় ফের হাতির হামলা সাঁকরাইলে। হাতির হানায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

শনিবার রাত্রি এগারোটা নাগাদ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা অঞ্চলের কালিকানালা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম লক্ষ্মী দাস। তাঁর বয়স প্রায় পঞ্চান্নর আশেপাশে। লক্ষ্মীবাবুর বাড়ি কালিকানালা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ গ্রামের মাঠে বোরো ধান চাষ করেছিলেন তিনি। সেই জমিতেই সেচের জল দিতে গিয়েছিলেন। তখন আচমকা হাতি এসে তার উপর হামলা চালায়। শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এরপরই গোটা এলাকা জুড়ে হাতির হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে, লক্ষ্মী দাসের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রত্যেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ওই এলাকায় তিনটি হাতি কয়েকদিন ধরে ঘোরাফেরা করছে। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে। হাতিগুলি এখনও জঙ্গলে ফিরে যায়নি। এলাকার আশেপাশেই একটি জঙ্গলে এখনো তিনটি হাতি রয়েছে ।

বনদফতরের তরফ থেকে মৃতের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তিনটি হাতিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে লক্ষ্মীবাবুর মৃত্যুর পর এলাকার বাসিন্দারা হাতির হামলার আশঙ্কায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘উনি তো ময়দানেই নেই’, লকেটের ‘কাছের লোকের কদর’ নিয়ে সাফ জবাব দিলীপের

আরও পড়ুন: Students Come home: ‘যুদ্ধ শেষে আবার যেতে চাই ইউক্রেনে’ বাড়ি ফিরেও স্বস্তিতে নেই আলিপুরদুয়ারের পড়ুয়া

Next Article